<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যে সেনাবাহিনী না হলে হয়তো বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারত না; যে সেনাবাহিনী দেশের লাল-সবুজ পতাকাকে উড্ডীন করেছে, আমাদের জন্য বয়ে এনেছে সম্মান ও গৌরবের অনন্য সব বীরত্বগাথা, সেই সেনাবাহিনীর সূচনাকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মেজর মোহাম্মদ আবদুল গণি। মাত্র ৪২ বছরের নাতিদীর্ঘ জীবনে দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ব পালনের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে তিনি ইতিহাসের পাতায় চির-অম্লান হয়ে আছেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা বা জনক হিসেবে তিনি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বঙ্গশার্দূল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ও </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টাইগার গণি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামেই বেশি পরিচিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯১৫ সালের পয়লা ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামে মধ্যবিত্ত সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ আব্দুল গণি। বাবা মোহাম্মদ সরাফত আলী ছিলেন কৃষিজীবী ও মা জোবেদা খাতুন আদর্শ গৃহিণী। গণির ছাত্রজীবন কেটেছে আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে। কিন্তু তাঁর অমায়িক আচরণ, নম্রতা, ভদ্রতা, বিনয়, শিষ্টাচার, সাহসিকতা, সমাজসেবা, পরোপকারী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখে আর্থিক অভাবের সময় এগিয়ে আসেন চট্টগ্রামের মহকুমা প্রশাসক হামিদ হাসান নোমানী, যিনি ছিলেন অবাঙালি ও অত্যন্ত উঁচু মানের মানবহিতৈষী ব্যক্তিত্ব। গণির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেন তিনি। গণিকে তিনি তাঁর ছেলের সঙ্গে চট্টগ্রাম মুসলিম হাই স্কুলে ভর্তি করে নিজ বাড়িতে ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করে দেন। জনাব নোমানী খুলনা জেলায় বদলি হলে গণিকেও তিনি খুলনা জিলা স্কুলে ভর্তি করে দেন। ১৯৩৬ সালে এ স্কুল থেকেই তিনি এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে তিনি ১৯৩৮ সালে আইএ এবং ১৯৪০ সালে বিএ পাস করার পর কলকাতা ফায়ার ব্রিগেডে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ লাভ করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/11-11-2024/2/kalerkantho-ed-1a.jpg" height="475" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/11-11-2024/2/kalerkantho-ed-2a.jpg" style="float:left" width="350" />১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা যখন বেজে উঠল, এম এ গণি আর বসে থাকতে পারলেন না। তিনি ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন অফিসার পদে যোগদানের জন্য আবেদন করেন এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৪২ সালের জানুয়ারিতে ভারতীয় পাইওনিয়ার কোরে কমিশন লাভ করেন। শুরু থেকেই গণি ছিলেন অত্যন্ত কর্তব্যপরায়ণ, নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী, নির্ভীক, বিনয়ী, কৌশলী ও কর্মতৎপর কর্মকর্তা। দ্রুতই তিনি সিনিয়র ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রিয়ভাজনে পরিণত হন। ১৯৪২ সালের শেষ দিকে তিনি লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত হন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর ব্রিটিশ জেনারেল মেসারভি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান নিযুক্ত হন। তিনি ক্যাপ্টেন গণিকে চিনতেন মহাযুদ্ধে তাঁর বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য। সে সুবাদে তিনি জেনারেল স্যার মেসারভিকে বাঙালি মুসলমানদের নিয়ে একটি রেজিমেন্ট গঠন করার অনুরোধ জানিয়ে একটি পত্র লেখেন। এই পত্রের সঙ্গে তিনি সব তথ্য ও যুক্তি পেশ করে ২০ পৃষ্ঠার একটি স্মারকলিপিও পেশ করেন। মেসারভি এই প্রস্তাবকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নিয়েছিলেন এবং এই পত্রের উত্তরে জানান, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি আশা করি, বিশ্বকে তোমরা দেখাতে পারবে বাঙালি মুসলমান সৈনিকরা অন্য সৈনিকদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ঝালনার কোর সেন্টারের অধিনায়ক লে. কর্নেল মারিয়াটি বাঙালি রেজিমেন্ট গঠনের বিষয়ে ক্যাপ্টেন গণিকে পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ক্যাপ্টেন গণির অধীনে ১২৫৬ ও ১৪০৭ পাইওনিয়ার কম্পানি দুটি বাঙালি মুসলমানদের নিয়ে গঠিত ছিল বলে এগুলো পূর্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অধীনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে ১৯৪৭ সালে ক্যাপ্টেন গণির নেতৃত্বে কম্পানি দুটি বিশেষ ট্রেনযোগে মুম্বাই থেকে ঢাকায় আনা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকায় আসার পর বাঙালি রেজিমেন্ট গঠন করার জন্য ক্যাপ্টেন গণি জোর তৎপরতা শুরু করেন। অবশেষে বাংলার বাঙালি মুসলমানদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রাণের আকুতি, ক্যাপ্টেন গণির আজীবন লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ লাভ করতে শুরু করে। পাকিস্তান জন্মলাভের শুরুতেই সরকার ক্যাপ্টেন গণি ও আরো অনেকের ইচ্ছানুযায়ী বাঙালি মুসলমানদের জন্য একটি রেজিমেন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়, যার নামকরণ হয় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। ক্যাপ্টেন গণি ও অন্যান্য কর্মকর্তার আপ্রাণ চেষ্টায় মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল গঠনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে। ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল ভি জে ই প্যাটারসনকে প্রথম ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলায় প্রতিষ্ঠিত হয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়ন ১ ইস্ট বেঙ্গল। পাকিস্তানের ইতিহাসে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ও বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর স্যার ফ্রেডারিক ব্রেবর্ন, মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদের সব গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, উপ-আঞ্চলিক অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার আইয়ুব খান, উচ্চপদস্থ সব সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা। শুরু হয় বাঙালিদের গৌরবময় ইতিহাসের শুভ যাত্রা এবং মার্শাল রেস হিসেবে প্রমাণ করার সুবর্ণ সুযোগ। মুছে গেল ২০০ বছরের গ্লানি। এর মাধ্যমে বীজ বপন করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর সেনানীদের। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সৌম্য, শক্তি ও ক্ষিপ্রতা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে যাত্রা শুরু করে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বঙ্গশার্দূল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বাহিনী। কে জানত যে এ রেজিমেন্টই একদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দেবে!</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুষ্ঠানের চা-চক্রে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার অবতারণা হয়। ব্রিগেডিয়ার আইয়ুব খান সবার উদ্দেশে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘From now on-words Bengali soldiers will speak in Urdu, not in Bengali.’ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ কথার তীব্র প্রতিবাদ করে ক্যাপ্টেন গণি সবার সামনে আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘Excuse me sir, we Bengali soldiers will never speak in Urdu, but in our mother tongue Bengali.’ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর জবাবে আইয়ুব খান </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘Shut up. Sit down.’ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বলে ক্যাপ্টেন গণিকে থামিয়ে দেন। এই দুঃসাহসী ভূমিকার জন্য এ সময় থেকেই তাঁকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টাইগার গণি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর  থেকে সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন গণির অবস্থান নড়বড়ে হতে থাকে। চৌকস কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর পদোন্নতি হচ্ছিল না। ইস্ট বেঙ্গল থেকে তাঁকে বদলি করা হয় পাকিস্তান ন্যাশনাল গার্ড, দিনাজপুরে। সর্বশেষ তাঁকে ১৪ ডিভিশন হেডকোয়ার্টার, ঢাকায় বদলি করা হয়। যথাযথ মূল্যায়ন ও পদোন্নতি না হওয়ায় ১৯৫৩ সালের শেষ দিকে তিনি রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র দাখিল করেন। পদত্যাগ গৃহীত হয় এবং তাঁকে অবসর দেওয়া হয়। অবসরকালে ক্যাপ্টেন গণিকে তাঁর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অবসরোত্তর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""> (retrospective) ‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেজর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এরপর মেজর গণির নতুন জীবন শুরু হয়। অযথা সময়ক্ষেপণ না করে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে নিজেকে কাজে লাগানোর জন্য তিনি রাজনীতিতে নেমে পড়েন। ১৯৫৪ সালের ২২ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে তাঁর চিন্তা-চেতনা ছিল অনেক সুদূরপ্রসারী। তিনি একটি প্রকৃত ইসলামী দল গঠনের উদ্যোগও নিয়েছিলেন, যার নাম দেওয়া হয়েছিল </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসলাম লীগ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৫৭ সালের ২৯, ৩০ ও ৩১ অক্টোবর তিন দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড ভেটার্ন্স ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদানের জন্য জার্মানির বার্লিনে গমন করেন। এই সম্মেলনে তিনি তাঁর জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উদ্দীপনামূলক, উত্তেজনাপূর্ণ ও জ্বালাময়ী ভাষণ দেন। এক পর্যায়ে তিনি আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৫৭ সালের ১১ নভেম্বর দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে তিনি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে গমন করেন। তাঁর মরদেহ দেশে আনার পর যথাযথ সামরিক মর্যাদায় কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসে দাফন করা হয়। চলে গেলেন মেজর গণি, কিন্তু রয়ে গেল তাঁর সৃষ্ট ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : সামরিক ইতিহাস বিষয়ের লেখক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">hoque2515@gmail.com</span></span></span></span></p>