আজ শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০। আগামীকাল শনিবার আগস্টের পয়লা তারিখ, ইসলামি ক্যালেন্ডারের জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ, যেদিন পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে আনন্দময় উৎসবের নাম ঈদ। বছরে আমরা দুটি ঈদ উদ্যাপন করি : রমজান মাসে মাসব্যাপী ‘সিয়াম’ সাধনার পরদিনই উদ্যাপিত হয় ঈদুল ফিতর, আর ইসলামি ক্যালেন্ডারের শেষ মাস জিলহজ্বের ১০ তারিখ পালিত হয় ঈদুল আযহা। এই ঈদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে জামাতে ঈদের নামায আদায় করা এবং আল্লাহ (সু)-র নির্দেশানুযায়ী তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য বিধি মোতাবেক পশু কুরবানি করা। উভয় ঈদেই সব কিছু ছাপিয়ে ছোট-বড়, ধনী-গরিব, আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের মাঝে বয়ে যায় আনন্দের হিল্লোল। ঈদের দিন ইসলামের যে মৌলিক শিক্ষা সেটা মেনে ধনী-গরিব, উচ্চ-নীচ সবাই পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাযের জন্য জামাতে দাঁড়ায়। নামায শেষে বুকে বুক মিলিয়ে আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এ-বাড়ি সে-বাড়ি যায়। আর উপচে পড়া আনন্দে মেতে ওঠে শিশু-কিশোরেরা। তারা পাড়াময় ঘুরে ঘুরে মুরব্বিদের সালাম করে ‘সালামি/ঈদি’ আদায় করে, সেই সঙ্গে চলে বিরামহীন মিষ্টিমুখ। ঈদের দিনের এই হচ্ছে চিরন্তন রূপ। এর ব্যত্যয় হতে আমরা প্রবীণরাও কোনো দিন দেখিনি। এমনকি একাত্তরের বিভীষিকাময় দিনগুলিতে হৃদয়ে যখন সারাক্ষণ রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, জীবন মানেই ছিল বিরামহীন দুশ্চিন্তা আর আতঙ্ক, তখনো দুটি ঈদ আমরা যথাসম্ভব স্বাভাবিকভাবে উদ্যাপন করেছি। জামাতে নামায পড়েছি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে, কোলাকুলি করেছি, একে অন্যের বাড়িতে গিয়েছি। কিন্তু ...।
কিন্তু এখন এই ২০২০ সালের মে মাসে এবং জুলাই মাসে এ কোন ঈদ দেখছি আমরা? জামাতে দাঁড়াতে হবে মুখে মুখোশ পরে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে একজন আরেকজনের থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে থাকতে হবে। আর আলিঙ্গন-করমর্দন ইত্যাদি নৈব নৈবচ। ঈদের নামায চিরকাল পড়ে এসেছি ঈদগাহে। এবার পড়তে হবে মসজিদের চার দেয়ালের ভেতর। সমাজে যাঁরা সব সময় তথাকথিত আশরাফ শ্রেণির মানুষ বলে নিজেদের জাহির করতে অভ্যস্ত, আর সেই অহংবোধ থেকে যাঁরা আতরাফ শ্রেণির মানুষ থেকে এক শ হাত দূরে থাকতে চান (যেন ওই সব নিচতলার মানুষ আরিচা রোডের সাতটনি ট্রাক)। তাঁরা কিন্তু মনে মনে খুশি এই ছোঁয়াছুঁয়ি নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে। ঈদের ছুতোয় ব্যাটা মুদ্দোফরাসরা একেবারে হামলে পড়ে কোলাকুলি-ঝোলাঝুলি করে প্রেস্টিজ পাংচার করে দেয়। থ্যাংকস টু করোনাভাইরাস, ওই সব রোগ-জীবাণুর ডিপোর হাত থেকে, বুক থেকে তো এবার বাঁচা গেছে!
বাঁচুন। সমাজে যাদের আপনারা নমঃশূদ্র জ্ঞানে দূরে রাখেন, আল্লাহ আপনাদের মতো কুলীনদের তাদের স্পর্শদোষ থেকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখুন, দু’আ করি। আর আচম্বিতে যদি ওদের ছায়া আপনারা মাড়িয়েই বসেন তবে গোবরজল সেবন করে এবং কলকাতা গিয়ে গঙ্গাস্নান করে প্রায়শ্চিত্ত করলেই হবে। সাধারণ মানুষ কিন্তু ঈদের দিন কান-এঁটো-করা হাসি দিয়ে আপনজনের সঙ্গে কোলাকুলি-করমর্দন করতে না পারলে মনে করে ঈদের খুশিটাই অপূর্ণ রয়ে গেল। আর আমাদের আবহমানকালের সংস্কৃতিটাই তো এমনি। যাকে ভালোবাসি, যাকে আপন জানি, তাকে বুকে টেনে নেওয়াই তো সোজাসাপটা বাঙালির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
তবে হ্যাঁ, করোনার কারণে আমাদের অনেক বিধি-নিষেধ অবশ্যই মেনে চলতে হয়। দুঃখের বিষয়, আমরা চলি না। সারা পৃথিবীর মানুষ করোনা-রাক্ষসীকে ঠেকাতে যেখানে কয়েক মাস ধরে অনেক অনেক নিয়ম-কানুন স্বেচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক মেনে নিয়েছে, আমরা সেখানে এমন গোঁয়ার-গোবিন্দ হলে চলবে কেন? আসলে নিয়ম না মানাটাই আমাদের নিয়ম। সেটা কোনো কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়ানোই হোক অথবা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানো, রাস্তা পার হওয়াই হোক। গোড়াতে আমাদের কর্তৃপক্ষ ‘ঘুমাইয়া কাজা করেছি ফযর, তখনো জাগিনি যখন যোহর, হেলায় খেলায় কেটেছে আসর’ অবস্থায় নাসারন্ধ্রে খাঁটি গণেশ মার্কা সরিষার তেল ঢেলে কুম্ভকর্ণের সঙ্গে কমপিটিশনে নাম লেখালেও ‘মাগরিবের আজ শুনি আযান’ পর্যায়ে যখন দেশবাসীকে পই পই করে বলতে লাগলেন ঘন ঘন হাত ধোও, মুখোশ পরো, ঘরে থাকো, বাইরে যেয়ো না ইত্যাদি, আমরা তখন মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট বনে গেলাম। মুখোশ পরব না, দেখি কী করতে পারো। কিন্তু আমরা সেই পুরনো কথাটাই ভুলে গেলাম : কোথায় কায়দে আযম, আর কোথায় বদহজম। ওই হুজুর এমন গোঁয়ার্তুমি করতেই পারেন, কারণ তিনি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি। কিন্তু আপনি আমি তো ওই দেশ কেন, নিজেদের পাড়ার প্রেসিডেন্টও না, আমরা ‘দূর দূর, কিস্সু হবে না’ বলে সিনা ফুলিয়ে পুলিশ-র্যাব-ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দিয়ে চলে যাব সেটা করোনা রাক্ষসী মানবে কেন? অবশ্য ওই মার্কিনি হুজুরও শেষমেশ গোঁফ নামিয়েছেন। নিজে মুখোশ পরেছেন এবং এতদিন যে বলে আসছিলেন তিনি তাঁর দেশবাসীকে মুখোশ পরার নির্দেশ দেবেন না সেই অবস্থান থেকেও সরে এসেছেন। করোনা-মৃত্যুতে তাঁর দেশ সবার শীর্ষে, এমন শীর্ষে যে তার ধারেকাছেও কেউ নেই। অতএব ঠেলার নাম বাবাজি। আরো অনেক কিছুর মতো নভেম্বরের নির্বাচন মাথায় রেখে করোনার ব্যাপারেও হুজুর জে জে টি টি, অর্থাৎ যখন যেমন তখন তেমন।
আমাদের দেশে ইতিমধ্যেই সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। অবশ্য এসব পরিসংখ্যান নিয়েও দুষ্ট লোকে আড়ালে-আবডালে নানান অকথা-কুকথা কয়। যেসব মৃত্যুর কথা টিভিতে রোজ বলা হয় এগুলো নাকি বেশির ভাগই শহরভিত্তিক। দূর পল্লীর হাজার হাজার অখ্যাত অজ্ঞাত অঞ্চলে করোনা আক্রান্ত কটাই-মজহর-আম্বর-জাবিদ, ইন্তাজ-মন্তাজ-এলাইছ যারা মুখোশ পরে না, হাটে-বাজারে যাওয়া, এ-বাড়ি ও-বাড়ি গিয়ে দাওয়ায় বসে পান-তামাক খাওয়াও ধুমসে চালিয়ে যায়, সারা দিনে একবারও হাত ধোয় না সাবান দিয়ে, তারা মরল না বাঁচল সে খবর পৌঁছায় না মহাখালীর অধিদপ্তরে ও আব্দুল গনি রোডের মন্ত্রণালয়ে। আর পৌঁছালেই বা লাভ কী। ওসব জায়গায় তো মুখোশের আড়ালে মুখোশধারী স্যার-ম্যাডামরা ব্যস্ত মুখোশ আমদানির রহস্য উপাখ্যান, সাহেদ-সাবরিনা-শারমিনের উল্কাবৎ উত্থানের মেলোড্রামা, নিজেদের ‘কিস্সা কুরসিকা’ নামক বক্স অফিস হিট করা শ্বাসরুদ্ধকর সিনেমা (নাকি ছিঃনামা?) নিয়ে।
করোনা মহামারি বা অন্য যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলার বেলায় সবচেয়ে পরীক্ষিত ও ফলপ্রসূ মাধ্যম হচ্ছে স্থানীয়ভাবে জনগণকে সংগঠিত করা। সেটা সরকারি প্রশাসনের তৎপরতা ও কেন্দ্র থেকে সম্প্রসারিত আবেদন-নিবেদন, নির্দেশ-উপদেশ, বক্তৃতা-বিবৃতির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ, যেকোনো নির্বাচনে, সেটা জাতীয় বা স্থানীয় যাই হোক না কেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করার ঐতিহ্য। যে দল বা প্রার্থী জনসাধারণকে সংগঠিত ও সম্পৃক্ত না করে দূর থেকে ‘রিমোট কন্ট্রোলে’ কার্যসিদ্ধি করতে চায় তারা কদাচিৎ সাফল্যের মুখ দেখে। করোনাযুদ্ধে সরকার দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে, সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে জনসাধারণকে সংগঠিত করার চেয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি প্রশাসনযন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ওপর থেকে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার পুরনো কৌশল অবলম্বন করায় তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মনে হয় না। বরং যেখানে মেয়র বা কোনো জনপ্রিয় স্থানীয় নেতা উদ্যোগী হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেন সেখানে পাবলিকের সমর্থন মেলে বেশি। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে না বা পাবলিককে অযথা হম্বিতম্বি করতে হয় না। অবশ্য সহযোদ্ধা হিসেবে ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশ-র্যাব অবশ্যই সঙ্গে থাকেন।
তবে আমি মনে করি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বা কোনো প্রাসঙ্গিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে একজন নাগরিকের নিজের। এর ব্যত্যয় হলে পরিস্থিতি যে কী ভয়াবহ হতে পারে তা কোনো ব্যক্তি অনুধাবন করতে না পারলে তিনি নিজেকে ও তাঁর পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী এবং সংশ্লিষ্ট জনপদকে করোনা রাক্ষসীর মুখের গ্রাসে পরিণত করে ফেলতে পারেন। সবচেয়ে অবাক লাগে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পাঁচ মাস হতে চলল অথচ আজও লোকজন হাটে-বাজারে, লঞ্চঘাটে, বাস স্টেশনে, টিসিবির চালের ট্রাকের সামনে ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি সমানে চালিয়ে যাচ্ছে। দেখে মনে হয়, করোনা মহামারির খবর তাদের কাছে এখনো পৌঁছেনি। এর ফলে এখনো যারা করোনার আইন-কানুন ভঙ্গ করবে কি করবে না এ ব্যাপারে মনস্থির করতে পারছিল না তারাও ধ্যাত্তেরি বলে লকডাউন-টকডাউনকে কলা দেখিয়ে ‘যেমন খুশি চলো’ প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ছে। জানি না কবে আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা এবং জাতীয় জীবনে এর গুরুত্ব সম্বন্ধে আমাদের চৈতন্যোদয় হবে।
২.
করোনাকাব্য চর্চা শুরু করলে তার আর শেষ নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত না তা মহাকাব্যের রূপ নেয়। লেখক-পাঠক-নির্বিশেষে এখন আমরা সবাই করোনা বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছি, যদিও আসলে আমরা বিশেষজ্ঞ নই, বিশেষভাবে অজ্ঞ। এখনো আমরা শুরুতে যে তিমিরে ছিলাম সেই তিমিরেই আছি। অতএব, এখানেই এ প্রসঙ্গে ক্ষান্ত দিলাম। বরং আমাদের বহুলপরিচিত শত্রু, যার হাতে সেই আদ্যিকাল থেকে প্রতিবছর কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছি আমরা, সেই বন্যার ওপর আলোকপাত করা যাক। বন্যা যেহেতু একটা অবশ্যম্ভাবী বার্ষিক বিপর্যয় সে কারণে তার প্রতি বোধ হয় আমাদের মনোযোগ কম। আমরা ব্যস্ত নতুন অতিথি করোনাকে নিয়ে। কিন্তু তাই বলে বন্যা যে অভিমান করে এবার তার সফরসূচি বাতিল করবে বা তা কাটছাঁট করে আমাদের একটু ফুরসত দেবে তা না, বরং এবার রেগেমেগে তার তাণ্ডবলীলা আরো দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের ৬৪ জেলার প্রায় অর্ধেকই বন্যাকবলিত। এসব এলাকায় মানুষের দুর্দশার চিত্র টিভিতে দেখে, পত্রিকায় পড়ে অশ্রুসংবরণ করা মুশকিল। আমরা যারা বন্যার ছোবলের বাইরে আছি তারা এবারের অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও আগামীকালের ঈদের জন্য সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিচ্ছি, যদিও করোনা-পূর্বকালের তুলনায় তা কিছুই না। কিন্তু কল্পনা করুন বন্যা উপদ্রুত এলাকার লাখ লাখ মানুষ যারা দারাপুত্রপরিবার, গবাদি পশু, আসবাবপত্র ইত্যাদি নিয়ে কোনো ভাঙনোন্মুখ বেড়ি বাঁধ বা কাঁচা রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে তাদের কথা। তারা দুবেলা দুমুঠো ডাল-ভাতের বিলাসিতা ভুলে গিয়ে প্রতীক্ষার প্রহর গোনে কখন দেবদূতের মতো রিলিফের খাবার নিয়ে নাযিল হবেন ত্রাণকর্মীরা।
৩.
আমার বিনীত অনুরোধ, আমার আপনার মতো অগণিত সৌভাগ্যের বরপুত্রের কাছে : আসুন, এবার কুরবানির ঈদের খরচটা নিজেদের জন্য কমিয়ে বন্যাপীড়িত মানুষদের জন্য যথাসাধ্য বরাদ্দ করি। বিশেষ করে, ঈদে গ্রামের বাড়ি না গিয়েও কুরবানিটা গ্রামেই করি। গরিব আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী কুরবানির গোশতটা খাওয়ার সুযোগ পাক। তারাও যে খুব একটা ভালো অবস্থায় আছে তা না, তবু আমরা যদি তাদের জন্য একটু মাংসের ব্যবস্থা করি, আর সেই মাংস রান্না করে যদি সামান্য হলেও আশপাশের বন্যাকবলিত (যদি থাকে) মানুষকে পাঠানো যায় তাহলে যে রাব্বুল আ’লামিনের সন্তুষ্টির জন্য আমরা কুরবানি করি তিনি নিশ্চয়ই খুশি হবেন। সেই সঙ্গে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ ও বন্যাক্রান্ত লোকদের কাছে যাকাতের টাকা-পয়সা, শাড়ি-লুঙ্গিও পাঠাতে পারলে আরো ভালো হয়।
সব শেষে সৃষ্টিকর্তার কাছে এবারের ঈদে আসুন আমাদের সবার প্রার্থনা হোক : হে মাবুদ, আমাদের সকলকে, আমাদের প্রাণপ্রিয় দেশকে, সারা বিশ্বকে তুমি করোনামুক্ত করো (করুণাঘন, ধরণীতল করো ‘করোনাশূন্য’)। আমাদের দেশটাকে তুমি হিংসা-বিদ্বেষ-ঘৃণা-দুর্নীতি, মারামারি-হানাহানিমুক্ত করে চিরশান্তির নিবাসে পরিণত করো, মাওলা। আমিন। সুম্মা আমিন।
লেখক : সাবেক সচিব, কবি
মন্তব্য