<p>জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে দেশে যতগুলো খেলা স্বীকৃত সেগুলোর ঘরোয়া এবং কতগুলোর আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট, চ্যাম্পিয়নশিপ এবং প্রতিযোগিতা এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অন্য খেলার ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান কর্মসূচি অনুযায়ী পুরো বছর ধরে অনুষ্ঠিত হবে। আশা করা যায়, সারা বছর দেশের ক্রীড়াঙ্গন সচল ও সরব থাকবে। যেটি প্রত্যাশিত, সেটি হচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনের উদ্যোগ যাতে সীমাবদ্ধ গণ্ডিতে আটকে না পড়ে। যত বেশি সম্ভব সংশ্লিষ্ট মহলকে সম্পৃক্ত করা উচিত। ক্রীড়াঙ্গনকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর একসময়ের চিন্তা ও লক্ষ্যের অপরিহার্যতা বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুব বেশি প্রয়োজন।</p> <p>বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে তাঁর নামকরণে ‘বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস ২০২০’ হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সর্ববৃহৎ ক্রীড়া উৎসব, যেখানে ৩১টি খেলায় অংশ নেবেন হাজার হাজার পুরুষ-মহিলা অ্যাথলেট ও খেলোয়াড়। গেমস অনুষ্ঠিত হবে ১ থেকে ১০ এপ্রিল। এই গেমসের আয়নায় উঠে আসবে দেশের বিভিন্ন খেলার সার্বিক চিত্র।</p> <p>সম্প্রতি আইসিসি বৈশ্বিক চ্যাম্পিয়নশিপ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে যুবদল প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। যুবাদের বিশ্বকাপ জয় ক্রীড়াঙ্গনের পক্ষ থেকে সেরা উপহার মুজিববর্ষে জাতির পিতাকে। অথচ স্বাধীনতার পর একটি সময়ে দেশে ক্রিকেটের অস্তিত্বের বিষয়টি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল। বলা হয়েছে, ক্রিকেট বুর্জোয়াদের খেলা। এটি বাংলাদেশে কাম্য নয়। ক্রিকেটের সরঞ্জামাদির ওপর আরোপ করা হয়েছিল ১৩০ শতাংশ কর। এর বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংগঠক, খেলোয়াড় ও ক্রিকেটপ্রেমী সর্বস্তরের মানুষ। একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর শরণাপন্ন হয়েছেন ক্রিকেট সংগঠকরা। বঙ্গবন্ধু সব কিছু শুনে এবং বুঝে বলেছেন, এ দেশে ক্রিকেট ছিল, ক্রিকেট থাকবে। তিনি অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করার উপদেশ দিয়েছেন। ক্রিকেটের আকাশ থেকে মেঘ কেটে গেছে। সেই ক্রিকেট এখন বাংলাদেশের গৌরব ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে ইতিবাচক পরিচিতি। সঠিক সময়ে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্তের এটি একটি অনন্য উদাহরণ।</p> <p>বঙ্গবন্ধু ছিলেন মনেপ্রাণে আজীবন ক্রীড়াপিপাসু এবং ক্রীড়া মানসিকতাবান্ধব একজন উদার হৃদয়ের ব্যক্তিত্ব। ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি ছিল তাঁর বিশেষ দুর্বলতা। নিজে স্কুলজীবনে খেলেছেন। তাঁর প্রিয় খেলা ফুটবল। ফুটবল ছাড়াও তিনি ভলিবল ও হকি খেলেছেন। তাঁর আব্বাও ফুটবল খেলতেন। মিশন স্কুলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। কিশোর মুজিবুর রহমান শুধু স্কুলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি, ভালো দল গঠনের জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে সাংগঠনিক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। স্কুল পর্যায়ে ছাড়াও তৎকালীন মহকুমায় ‘শিল্ডের’ খেলায় তিনি স্কুল দল নিয়ে অংশ নিয়েছেন। এসব জেনেছি তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে।</p> <p>১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেওয়ার পর কলকাতায় চলে যান। কলকাতায় কলেজে অধ্যয়নের সময় মাঠের খেলার সঙ্গে তাঁর আর প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ছিল না। কেননা তিনি তখন রাজনীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়েন! তবে তাঁর ভালোবাসার ফুটবলকে ভুলতে পারেননি। তাই সময় পেলে বন্ধুদের সঙ্গে কখনো কখনো ফুটবল ম্যাচ দেখেছেন।</p> <p>স্বাধীন দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও ভূমিকা মূল্যায়ন সহজ বিষয় নয়! যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে নতুন করে ক্রীড়াঙ্গনকে শূন্য থেকে পূর্ণ করার প্রত্যয় নিয়ে শুরু করার ক্ষেত্রে তাঁর চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা, সময়োচিত উদ্যোগ, দূরদর্শিতা, সহযোগিতা, <img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2020/03.March/01-03-2020/Kalerkantho_20-03-01-04.jpg" style="float:left; height:100px; margin:8px; width:150px" />সমর্থন, সাধ্যমতো সাহায্য, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা রীতিমতো গবেষণার বিষয়। তাঁর প্রতিটি উদ্যোগের পেছনে যুক্তি ও কারণ ছিল। বঙ্গবন্ধু অল্প সময়ের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে যেভাবে চিন্তাভাবনা করেছেন, যে উদ্যোগগুলো নিয়েছেন, এখনকার বাস্তবতায় অবাক না হয়ে পারা যায় না। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই রাষ্ট্রনায়ক অনেক কিছু আগাম ভেবেছিলেন বলেই তার সুফল ভোগ করছে ক্রীড়াঙ্গন। চাইলেই ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না। ইতিহাস তার নির্দিষ্ট সময় পর্বের তথ্য, তত্ত্ব ও ঘটনা ঠিকই ধরে রাখে। ক্রীড়াঙ্গনে অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ও অবদান কখনো বিলীন হওয়ার নয়।</p> <p>ক্রীড়াঙ্গন আগামী বছর সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে। অনেক অর্জন আছে। অবশ্যই আছে ব্যর্থতা ও গ্লানি। কিছু ক্ষেত্রে নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, জবাবদিহি ও সুশাসনের অভাব। অথচ বঙ্গবন্ধুর চিন্তাচেতনা ও বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে ক্রীড়াঙ্গন পরিচালিত হলে তা আরো অনেক বেশি এগিয়ে যেত।</p> <p>স্বাধীনতার অনেক আগে থেকে, যখন তিনি বঙ্গবন্ধু হননি, পূর্ব পাকিস্তানের শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য রাজনীতিতে ব্যস্ত, তখনো এই অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান পরিচিত ছিলেন। তিনি জানতেন কিভাবে এই অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গন পরিচালিত হচ্ছে। কিভাবে বাঙালিরা অবহেলিত ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের এক দল নিবেদিত ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল রাজনীতির ক্ষেত্রে কারো কারো সঙ্গে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও। শেখ মুজিবুর রহমান কখনো ক্রীড়াঙ্গনে দলীয় রাজনীতি টেনে আনেননি। সময় পেলে ঘনিষ্ঠ ক্রীড়া সংগঠকদের নির্মল বৈঠকে যোগ দিতেন। কখনো কখনো গিয়েছেন ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে। এই ক্লাব স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের সম্মানে সম্মানিত করেছে। ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক অবস্থা জানা থাকায় স্বাধীনতার পর বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন দেশে নতুন করে ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।</p> <p>প্রথম থেকেই চেয়েছেন ক্রীড়াঙ্গন পরিচালিত হবে নিবেদিত ক্রীড়া সংগঠকদের দ্বারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে। ১৯৭২ সালে আমরা ফুটবল, হকি, ক্রিকেট, ভলিবল, সাঁতার, অ্যাথলেটিকস, টেনিস, ব্যাডমিন্টনসহ আরো ফেডারেশন ও সংস্থায় সেটির প্রতিফলন দেখেছি। প্রতিটি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নিবেদিত ও পরীক্ষিত। বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন ক্রীড়া ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহি। ফেডারেশন ও সংস্থার কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত অংশগ্রহণ। প্রতিটি স্তরে বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতিফলন। পাকিস্তানের ক্রীড়াঙ্গন মানসিকতা থেকে মুক্ত থাকবে বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গন।</p> <p>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে আসেন। ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গঠন করেন। আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক কাজী আনিসুর রহমানকে। অলিম্পিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ থেকে কাজী আনিসুর রহমানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালের ৩০ জুলাই জাতীয় সংসদে জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিল পাস করেন।</p> <p>১৩ ফেব্রুয়ারি (১৯৭২) স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাষ্ট্রপতি একাদশ ও মুজিবনগর একাদশের মধ্যে ঢাকা স্টেডিয়ামে। এই প্রদর্শনী ম্যাচের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু শুধু ম্যাচ উদ্বোধন করেননি, মাঠে বসে পুরো খেলা দেখেছেন। উৎসাহিত করেছেন খেলোয়াড় ও সংগঠকদের। খেলায় রাষ্ট্রপতি একাদশ ২-০ গোলে পরাজিত করেছিল মুজিবনগর একাদশকে। বঙ্গবন্ধু প্রথম থেকেই রাষ্ট্রীয় কাজে ভীষণ ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে ভেবেছেন। ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে তাঁর ‘ভিশন ছিল’। স্বপ্ন ছিল।</p> <p>বিদেশ থেকে যখন কোনো খেলোয়াড়ি দল এসেছে, তিনি তাদের সময় দিয়েছেন। আবার দেশ থেকে যখন একাদশ দল, জাতীয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাব দল বাইরে খেলতে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছে। তিনি খেলোয়াড় ও ক্রীড়াবিদদের ভালোবাসতেন, তাঁদের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলতেন। বিভিন্ন ধরনের উপদেশ দিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২১তম মারদেকা ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর শেষ সাক্ষাৎ হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা এ সময় দেশের বাইরে ছিলেন) নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।</p> <p>বঙ্গবন্ধু দেশের ক্রীড়াঙ্গনে মেয়েদের উৎসাহিত করার জন্য ১৯৭৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত গ্রামীণ ক্রীড়ায় অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা লুৎফুন নেসা বকুলের নেতৃত্বে একটি খেলোয়াড়ি দল পাঠিয়েছিলেন। অ্যাথলেটিকসে লং জাম্পে সুলতানা আহমদ (পরবর্তী সময়ে শেখ কামালের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় সুলতানা কামাল) রৌপ্য এবং ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের এটাই প্রথম সাফল্য বিদেশের মাটিতে।</p> <p>বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা গঠন, মেয়েদের জন্য ক্রীড়া পরিকল্পনা, পৃথক ক্রীড়া চত্বর—এসবই বঙ্গবন্ধুর অবদান। তাঁর স্বপ্ন ছিল ক্রীড়াঙ্গনে পুরুষদের পাশাপাশি মেয়েরা তাদের সামর্থ্য ও সম্ভাবনা তুলে ধরবে। এখন সেই স্বপ্ন পূরণের পথ ধরেই তো হাঁটা চলছে।</p> <p>বঙ্গবন্ধু সুস্থ জীবনবোধসম্পন্ন ক্রীড়াঙ্গনের স্বপ্ন দেখতেন বলেই ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়দের উপদেশ দিতেন, সতর্ক করতেন ক্রীড়াঙ্গন ও ক্লাব পরিচালনার ক্ষেত্রে। তিনি ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতির প্রভাবের বিরোধী ছিলেন। তাঁর একটাই কথা—ক্রীড়াঙ্গন পরিচালনা করবেন সংগঠকরা। তাঁরা ক্রীড়াক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবেন দেশে ও দেশের বাইরে! অংশ নেবেন ক্রীড়া প্রশাসনিক উৎকর্ষ বৃদ্ধির কোর্স ও সেমিনারে। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে।</p> <p>ক্রীড়াঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের তাৎপর্য সবাইকে বুঝতে হবে। এই উদ্‌যাপন ক্রীড়াস্বার্থ ও অগ্রগতিতে কাজে লাগাতে পারলে এটা হবে ক্রীড়ানুরাগী জাতির পিতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন।</p> <p><strong>লেখক :</strong> কলামিস্ট ও বিশ্লেষক</p>