শ্রীলঙ্কায় সর্বশেষ ২০১৬ সালে টেস্ট সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। দুঃস্বপ্নের সেই সফরে হোয়াইটওয়াশ ৩-০তে। দ্বীপদেশটিতে সর্বশেষ টেস্ট জয় ২০১১ সালে। স্পিন বিষে নীল হওয়াটাই নিয়তি ছিল এত দিন।
বিজ্ঞাপন
জয়ের জন্য ৫ রানের লক্ষ্যটা লাঞ্চের আগে ৪ বলে পেরিয়ে যায় প্যাট কামিন্সের দল। দুই ইনিংসে লায়ন ৯ উইকেট পেলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার ৭৭ রান করা ক্যামেরন গ্রিনের। আড়াই দিনে মাত্র ১৫৩.৩ ওভারে টেস্ট জেতাটা অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের অন্যতম দ্রুততম। কঠিন কন্ডিশনে এতটা দাপুটে জয় আশা করেননি কামিন্সও, ‘দুর্দান্ত জয়। সকালেও ভাবিনি এত দ্রুত জিতব। এই দল নিয়ে গর্বিত। ’
অথচ কঠিন পিচে শুরুটা ইতিবাচক ছিল শ্রীলঙ্কার। মিচেল স্টার্কের প্রথম ওভারে চারটা বাউন্ডারি মেরেছিলেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। তাই আর বল হাতে নেননি অধিনায়ক কামিন্স। স্পিনাররাই করে দিয়েছে বাকি কাজটা। করোনা আক্রান্ত অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ায় সুবিধাই হয় অস্ট্রেলিয়ার। আর ট্রাভিস হেড তো চমকে দিয়েছেন রীতিমতো। টেস্ট ক্যারিয়ারে কখনো উইকেটের দেখা না পাওয়া হেড মাত্র ১৭ বলে নেন ৪ উইকেট! এভাবে হারায় নিজেদেরই দোষ দিচ্ছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক করুনারত্নে, ‘খেলার ধরনটা ভালোই ছিল, কিন্তু নিজেদের বাজে শটের মাসুল দিয়েছি। ’ এএফপি