ম্যাচের পর : মালয়েশিয়ার সঙ্গে বড় জয়ের পর কাল বরফ পানিতে শরীর জুড়িয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আজ পুরোদমে প্রস্তুতি নেবেন সানজিদা-কৃষ্ণারা। ছবি : মীর ফরিদ
ক্রীড়া প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে সিঙ্গাপুরে মালয়েশিয়ার কাছে ২-১-এ হেরেছিল বাংলাদেশ। তিন জাতি ওই টুর্নামেন্টে সিঙ্গাপুরকেও ৪ গোল দিয়েছিল মালয়েশিয়ার মেয়েরা। যেখানে কিনা সাবিনা খাতুনরাও সিঙ্গাপুরের কাছে হারেন ৩-০-তে। মালয়েশীয়দের বিপক্ষে সেই শেষ দেখার স্মৃতিতে এবারের ৬ গোল মেলাবেন কী করে সাবিনারা!
পরশু সন্ধ্যায় ৬ গোলের একটি করা স্ট্রাইকার কৃষ্ণা রানীও ছিলেন সিঙ্গাপুরের সেই ম্যাচে।
বিজ্ঞাপন
মালয়েশীয়রা কিন্তু আসিয়ানের থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনের মতো শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে আগের মতো পিছিয়েই আছে। ২০১৯-এর সাউথ ইস্ট এশিয়ান গেমসে মিয়ানমার ও ফিলিপাইনের কাছে দুই ম্যাচে হজম করেছে তারা ১০ গোল। এর আগের আসরেও চার ম্যাচের একটিও জিততে পারেনি, ১৯ গোল হজম করেছে। এবারের সি গেমসে তাই তাদের পাঠানোই হয়নি। বাংলাদেশের মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৬ দল সেখানে ২০১৯ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে। ফিলিপাইনের সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হারে ১-০ গোলে। সেই মারিয়া, মনিকা, আঁখি, সাজেদারাই এখন অধিক পরিণত হয়ে সাবিনা, কৃষ্ণাদের সঙ্গে মিলে জাতীয় দলটিকে নিয়ে গেছেন আরো উচ্চতায়। তারই পরিষ্কার ছবিটা দেখা গেছে পরশু কমলাপুরে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরন বা জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানীও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে মেয়েদের সাফল্যে ভবিষ্যতের এ ছবিটাই এঁকেছেন কয়েক বছর ধরে। হঠাৎই তার আত্মপ্রকাশে বাংলাদেশ দলও অভিভূত। রব্বানী অবশ্য বরাবরই পা মাটিতে রাখার চেষ্টা করেছেন। এমন দারুণ ম্যাচের পরও তাঁর প্রতিক্রিয়ায় তাই বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেই এ জায়গায় এসেছে। এ দলটি এখন অনেক পরিণত। অনেক কম ভুল করছে, তারই ফল পেয়েছি আমরা। ’ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তাই বরাবরের মত ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কথাই বলেছেন।