<p>কলকাতা থেকে প্রতিনিধি : গোকুলাম কেরালার কোচ ভিনসেঞ্জো আলবার্তো সংবাদ সম্মেলনে এসেই কিংসের ১০ নম্বরের কথা বলতে শুরু করেন। ইতালিয়ান কোচ তাঁর নামটাও মনে করতে পারেননি, শুধু মানে আছে ১০ নম্বরেই শেষ হয়ে গেছে কেরালার ভাগ্য।</p> <p>কিংসের ১০ নম্বর যেন এই ইতালিয়ানের বুকে শেল বিঁধে দিয়েছে, ‘কিংসের ১০ নম্বরের কোয়ালিটি অন্য করম। ওয়ান টু ওয়ানে তাকে ধরে রাখা মুশকিল। সে-ই খেলা তৈরি করেছে, গোল করেছে।’ এরপর মাথা নাড়তে নাড়তে বলে ওঠেন, ‘তার সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেনি আমাদের রক্ষণভাগ।’ একটি গোল নিজে করে অন্যটি নুহা মারংকে দিয়ে করিয়ে গোকুলামকে শেষ করে দিয়েছেন রবসন। ম্যাচসেরা এই ব্রাজিলিয়ানের মুখে অবশ্য অন্য কথা, ‘এই ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গেম প্ল্যান অনুযায়ী খেলাটা খুব জরুরি ছিল। খেলোয়াড়রা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল বলেই এই ম্যাচ আমরা জিতেছি। আমি গোল করলেও কোচ খেলোয়াড় সবার চেষ্টায় ম্যাচটা জিতেছি।’</p> <p>নিজের কথা নিজে না বললেও প্রতিপক্ষ কোচ বলে দিয়েছেন তাঁর অভাবনীয় ফুটবল সামর্থ্যের কথা। বাঁ দিক ধরে ঢুকে এই ব্রাজিলিয়ান বারবার তছনছ করে দিয়েছেন গোকুলাম কেরালার রক্ষণভাগ। শেষ পর্যন্ত তাঁর কাছেই অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে আই লিগ চাম্পিয়নদের। কিংস কোচ অস্কার ব্রুজোনও হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা আজ ভালো ছিল না। হূত্স্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল। রবসনই আমাদের স্বপ্ন ধরে রেখেছে। সে আসলে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতোই ফুটবলার। গুণে-মানে তার সঙ্গে প্রতিপক্ষের পেরে ওঠা কঠিন।’ রবসন ম্যাচ বের করে দিয়ে নক আউটে যাওয়ার পথ খুলে রেখেছে। পরের ম্যাচের ফলের অপেক্ষায় থাকতে হবে। সেই ম্যাচে মাজিয়া জিতলে বা ড্র করলে বসুন্ধরা কিংস গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউটে যাবে। মোহনবাগান জিতলে সেই দুয়ার বন্ধ হয়ে যাবে ‘হেড টু হেডে’।</p>