ফরোয়ার্ড লাইনে চিনেডু ম্যাথু, সুদি আব্দুল্লাহর মতো ভালো ফরোয়ার্ড যোগ হয়েছে। দুজনই লিগে ভালো পারফরমার, সুবাদে গোল করার সামর্থ্য নিশ্চিতভাবে বাড়ছে কিংসের। আর দলের অন্যান্য বিভাগ নিয়ে বললে, আগের চেয়ে অনেক বেশি ভারসাম্যপূর্ণ দল এটি।
প্রশ্ন : আবার এএফসি কাপ খেলতে যাচ্ছেন বড় স্বপ্ন নিয়ে। দলের সামর্থ্য এবং আত্মবিশ্বাস কেমন?
অস্কার ব্রুজোন : আগেরবার কাছাকাছি গিয়েও হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছিল। তবে এবার এই সময়ে আমাদের দল ফর্মের তুঙ্গে আছে এবং ভালো অবস্থায় আমরা কলকাতায় যাচ্ছি এএফসি কাপ খেলতে। প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলছে এবং ম্যাচের ফলগুলো অবশ্যই খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
বিজ্ঞাপন
প্রশ্ন : কিন্তু বাংলাদেশ প্রিমিয়ারের লিগের ম্যাচের সঙ্গে কি এএফসি কাপের ম্যাচের চরিত্র মেলে?
অস্কার : আসলে মেলে না। এএফসি কাপের দলগুলো আরো সংগঠিত এবং খেলোয়াড়দের মানও ভালো। খেলার চরিত্রগত দিক থেকে দুটো আলাদা।
প্রশ্ন : তবে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগেল ফিগেইরা যোগ হওয়ায় দলের ফিনিশিং নিশ্চয়ই ভালো হচ্ছে।
অস্কার : লিগের মাঝপথে মিগেল আমাদের দারুণ প্রাপ্তি। তার সঙ্গে রবসন রোবিনহোর ভালো তালমিল তৈরি হয়ে গেছে। তাতে গোল আসছে, সর্বশেষ ম্যাচেও এই রসায়নে মিগেলের পায়ে জোড়া গোল দেখেছি। তা ছাড়া এ বছর স্কোরারের তালিকায় দলের অনেকের নাম উঠেছে। এটার অর্থ বসুন্ধরা কিংসের খেলার স্টাইলে আক্রমণাত্মক মেজাজটা খুব ভালোভাবে আছে। এটাই দরকার এএফসি কাপে।
প্রশ্ন : নতুন গাম্বিয়ান স্ট্রাইকার নুহা মারং যে গোলের মধ্যে নেই!
অস্কার : শেষ ম্যাচে নুহা মাংসপেশির চোট নিয়ে খেলেছে। আশা করছি, বিপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে সে পার্থক্য গড়ে দিতে পারবে।
প্রশ্ন : তাহলে কি এএফসি কাপে তাঁকে দেখা যাবে না?
অস্কার : সে স্কোয়াডে আছে। তবে আমাদের এলিটা এবার খেলতে পারবে। সঙ্গে ফরোয়ার্ড লাইনে চিনেডু ম্যাথু, সুদি আব্দুল্লাহর মতো ভালো ফরোয়ার্ড যোগ হয়েছে। দুজনই লিগে ভালো পারফরমার, সুবাদে গোল করার সামর্থ্য নিশ্চিতভাবে বাড়ছে কিংসের। আর দলের অন্যান্য বিভাগ নিয়ে বললে, আগের চেয়ে অনেক বেশি ভারসাম্যপূর্ণ দল এটি। আমাদের মধ্যমাঠের খেলা ভালো হচ্ছে। রক্ষণভাগও ভালো, তবে উন্নতির সুযোগ আছে।
প্রশ্ন : তিন প্রতিপক্ষকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
অস্কার : সব দল শক্তিশালী এবং নিজেদের লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। শক্তিতে হয়তো একটু এদিক-ওদিক হবে, তবে সবার সুযোগ আছে। আমাদের পরিকল্পনা হলো ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোনো। প্রত্যেক ম্যাচের চরিত্র আলাদা হবে, তাই কৌশলও হবে আলদা। কৌশল ও মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে আমরা সেরা হতে চাই।
প্রশ্ন : তিন প্রতিপক্ষের মধ্যে এটিকে মোহনবাগানকে কি খানিকটা এগিয়ে থাকা দল মনে হয়?
অস্কার : তারা নিজেদের মাঠে (যুবভারতী স্টেডিয়ামে) খেলবে, এটা বড় সুবিধা। দর্শকদের সমর্থন পাবে। এটা মাঝেমধ্যে চাপ হয়েও বসে স্বাগতিক দলের জন্য, তখন স্বাভাবিক খেলাও গুলিয়ে যায়।
প্রশ্ন : দল হিসেবে মোহনবাগান শক্তিশালী। কলকাতার এই ক্লাবকে হারালে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহজ হয়ে যায় অনেকখানি। এই ম্যাচ নিয়ে আপনি কতটা আত্মবিশ্বাসী?
অস্কার : আমি তো চাই প্রতিটি ম্যাচ জিততে এবং বিশ্বাসও করি বসুন্ধরা কিংসের সেই সামর্থ্য আছে। কয়েক বছর ধরে এই টুর্নামেন্টের জন্য আমরা তৈরি হয়েছি। গত বছর এএফসি কাপ খেলে আমরা কোনো ম্যাচ হারিনি, এটাও আত্মবিশ্বাসের একটা জায়গা। মোহনবাগানের বিপক্ষে লিড নেওয়ার পরও ম্যাচ ড্র হয়েছে। কিন্তু আমরা হারিনি। মালদ্বীপের ওই পারফরম্যান্স আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। সুতরাং দলের সামর্থ্য নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।