ক্রীড়া প্রতিবেদক : ২-০তে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ লিডটা হারিয়ে ফেলেছে তখন। শ্রীলঙ্কা সমতা ফিরিয়েছে ২-২ এ। শেষ ম্যাচটা তাই শিরোপা নির্ধারণী। মুহতাসিন হৃদয় সেই চ্যালেঞ্জটা নিলেন।
বিজ্ঞাপন
টিটিতে অনেক তারকা খেলোয়াড় এসেছেন। জোবেরা রহমান লিনু, সাইদুল হক সাদি, রচি, কচি, কিসলু—এমন অনেকেই। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে কখনো সোনার হাসি উপহার দিতে পারেননি তাঁরা। রংপুরের মুহতাসিন সেই ধারাটাই বদলে দিলেন মালদ্বীপে এবারের দক্ষিণ এশীয় টিটিতে। গতকাল সকালেই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। মুহতাসিন, রামহিম, নাফিসরা সোনার সেই হাসিটা ধরে রেখেই ফিরেছেন। দক্ষিণ এশীয় এ আসরে এত দিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন ছিল রুপা। সেটিও বেশ আগে, মেয়েদের ডাবলসে এনে দিয়েছিলেন মৌমিতা আলম ও সোনম সুলতানা। এরপর ব্রোঞ্জেই ছিল বাংলাদেশের সীমানা। এবার অন্তত রুপা ফেরাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে ছেলেদের দলীয় সোনা নতুন দিনেরই ইঙ্গিত দিয়েছে। মুহতাসিন হৃদয়ও নিজের স্বপ্নের পরিধিটা ছড়িয়ে দিয়েছেন, ‘সত্যি বলতে এবার আমাদের প্রস্তুতিটা ছিল বেশ ভালো। সবাই প্রচুর পরিশ্রম করেছে। এইচএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে আমাকে প্রস্তুতি, পড়াশোনা দুটিই চালিয়ে যেতে হয়েছে। তাতেই এই সাফল্য পেলাম। সামনে যদি আরো বেশি সময় পাই, আরো ভালো মানের কোচের অধীনে অনুশীলন করতে পারি, তাহলে এসএ গেমসেও এই ফলটা ধরে রাখা সম্ভব। ’
ছেলেদের দলগত ওই একটা ইভেন্টেই অবশ্য ভারত অংশ নেয়নি। আসরে মোট ১২টি ইভেন্টের ১১টিতেই সোনা জিতেছে তারা। তবু শ্রীলঙ্কাও এত দিন বড় বাধা হয়ে ছিল বাংলাদেশের জন্য। যে কারণে ফাইনালে খেলাটাও সম্ভব হতো না। মুহতাসিনরা সেই গল্পটাই বদলে দিয়েছেন এবার।