চট্টগ্রাম থেকে প্রতিনিধি : ওয়ার্ম আপ শেষে ফিল্ডিং প্র্যাকটিস করার কথা তখন ইয়াসির আলীর। কিন্তু তিনি মরিয়া চেষ্টায় ব্যস্ত বল হাতে। অধিনায়ক মমিনুল হকের নেটে অফস্পিন করছেন, প্রতিটি ডেলিভারির পর রি-অ্যাকশন দেখে মনে হবে ইয়াসির বুঝি বাংলাদেশ দলের নিয়মিত বোলার। নিদেনপক্ষে অলরাউন্ডার।
বিজ্ঞাপন
সেই বাবার সন্তান তো লক্ষ্যে অবিচল থাকবেনই। অভিব্যক্তি দেখে বোঝা যাচ্ছিল, কঠিন এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে রাসেল ডমিঙ্গোর পেশাদার মনোভাবেও চিড় ধরেছে, ‘বোলিং করতে পারে, এমন কাউকে আমাদের বিবেচনা করতে হবে। এটা আমাদের জন্যও খুব চ্যালেঞ্জিং। যেমন—আমাদের ইয়াসির (আলী) রাব্বি আছে, যে কিনা দুর্দান্ত পারফরম করছে। কিন্তু (সাকিব আল হাসান যদি না খেলতে পারে) আমাদের এমন একজনকে দরকার, যে কিনা ১০-১৫ ওভার বোলিং করতে পারে। ’ এই যুক্তিতে আগামীকাল চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টের একাদশে ইয়াসিরের জায়গায় অগ্রাধিকার পাচ্ছেন মোসাদ্দেক হোসেন। ম্যাচপূর্ব প্র্যাকটিসের রুটিন যদি একাদশ গঠনের ছবি হয়, তবে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা হচ্ছে না ইয়াসির আলীর। অবশ্য সাকিব আল হাসান আজকের ফিটনেস টেস্টে উতরে গেলে ভিন্ন কথা, খেলবেন ইয়াসিরই। তবে সাকিবের ফিটনেস নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের যে সংশয়ের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ, তাতে ইয়াসিরের জায়গায় বোলিং বিকল্পও খুঁজতে হচ্ছে। সেই ছকে দেরিতে স্কোয়াডে ঢোকা মোসাদ্দেককে এগিয়ে রাখা হয়েছে।
নিশ্চিত জীবন ফেলে অনিশ্চয়তার ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়তে আসা ইয়াসির এতে দমবেন কেন? প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্র ২৭.৫ ওভার বোলিং করা তিনি এবার অফস্পিনেও ঝাঁপ দিলেন বলে! ছক ভেঙে বেরিয়ে পড়ার এই মানসিকতা তাঁর উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত।