ক্রীড়া প্রতিবেদক : করোনায় পৃথিবী থমকে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে হয়েছিল তাঁর টি-টোয়েন্টি অভিষেক। এর ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার দিনও অভিষেক হাসান মাহমুদের, তবে এবার ওয়ানডেতে।
গত বছরের ১১ মার্চ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ওভার বোলিং করে ২৫ রান খরচে উইকেটশূন্য থেকে অভিষেক রঙিন করতে পারেননি। তবে ওয়ানডে অভিষেকে আবার অন্য রকম এই তরুণ পেসার। ছয় ওভার বোলিং করে একটি মেডেনসহ ২৮ রানে তিন উইকেট নেওয়া হাসান যে এবার ভালো কিছুই করবেন, সে বিশ্বাস ছিল টিম ম্যানেজমেন্টেরও। অন্তত তেমন দাবিই করলেন বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। হাসানের ক্রমাগত উন্নতিই তাঁদের আশ্বস্ত করেছিল বলেও জানালেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই হেড কোচ কাল বলছিলেন সে কথাই, ‘না, সে আমাকে একদমই অবাক করেনি। এ জন্যই ওকে একাদশে রাখা হয়েছিল। কারণ আমরা ওর উন্নতি দেখেছি।’
এক বছর ধরেই দেখছেন সে উন্নতির ধারাবাহিকতা। অভিষেক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হলেও এর আগে জানুয়ারিতে পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সফরের দলেও ছিলেন হাসান। তখন থেকেই এ তরুণ তাঁর নজরে ছিলেন। বছরখানেক পর ওটিস তাই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাচ্ছেন যে ‘সে আমাদের সঙ্গে আছে প্রায় ১২ মাস ধরেই। গত বছরের শুরুতে পাকিস্তান সফরের দলেও ছিল। এই সময়ে ওর বেশ উন্নতিই হতে দেখেছি আমরা। এটি দেখা তাই দারুণ ব্যাপার যে সে তার সুযোগ পেয়েছে এবং অভিষেকেই তিন উইকেট নেওয়ার মতো পরিশ্রমের পুরস্কারও জুটেছে ওর।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নিজের শ্রমের সুফলও মুস্তাফিজুর রহমানকে তুলতে দেখেছেন গিবসন। বাঁহাতি পেসার যাতে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বল ভেতরে ঢোকাতে পারেন, তা নিয়েও অনেক দিন থেকেই কাজ করছিলেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিবীয় ওপেনার সুনীল আমব্রিসকে এলবিডাব্লিউ করা ডেলিভারি দেখে গিবসন নিশ্চিত যে মুস্তাফিজের বোলিংয়ে এ রকম ডেলিভারি এখন থেকে নিয়মিতই দেখা যাবে, ‘আমরা চেষ্টা করেছি যাতে সে বল ভেতরে আনতে পারে। আমরা অনেক কিছু নিয়েই কাজ করেছি, বিশেষ করে কবজির পজিশন নিয়ে। সে এরই মধ্যে প্রমাণ করেছে যে কবজির পজিশন ঠিক থাকলে বল ভেতরের দিকে সুইং করাতে পারে। আশা করছি সে আরো ভালো করবে এবং সামনের ম্যাচগুলোয় ভেতরের দিকে সুইং করা বল আপনারা আরো দেখবেন।’
মন্তব্য