২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি। আলাদা দুটি দিনে শার্দূল ঠাকুর সমালোচনা ও সম্মান—পেলেন দুটোই। শুধু বদলেছে সময়, ভেন্যু আর প্রতিপক্ষ। ২০১৭ সালে শচীন টেন্ডুলকারের ১০ নম্বর জার্সিতে হয়েছিল ওয়ানডে অভিষেক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ব্যাটিংই পাননি, তবে বল হাতে নেন ১ উইকেট। টেন্ডুলকার সমর্থকরা ‘শার্দূলকার’ বলে ট্রলও করেছিল তাঁকে। চার বছর পর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টটি তিনি খেললেন ৫৪ নম্বর জার্সিতে। অভিষিক্ত ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড ১২৩ রানের জুটিতে সেই শার্দূলই হৃদয় কাড়লেন ভারতীয়দের।
১৮৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারত এই জুটিতে ভর করে তৃতীয় দিন অল আউট হয় ৩৩৬ রানে। জস হ্যাজেলউড ৫টি আর ২টি করে উইকেট মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের। জবাবে অস্ট্রেলিয়া দিন শেষ করেছে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২১ রানে। স্বাগতিকদের লিড ৫৪ রানের। যাঁদের ওপর ভরসাটা সবচেয়ে বেশি ছিল সেই চেতেশ্বর পূজারা ২৫ আর অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে ফেরেন ৩৭ করে। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৩৮ আর ঋষভ পান্ট আউট হন ২৩ রানে। সেখান থেকেই হাল ধরেন দুই তরুণ ওয়াশিংটন সুন্দর ও শার্দূল ঠাকুর। দুজনের ১২৩ রানের জুটি ব্রিসবেনে সপ্তম উইকেটে ভারতের সেরা।
১১৫ বলে ৯ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৬৭ করা শার্দূলকে বোল্ড করে জুটিটা ভাঙেন প্যাট কামিন্স। ওয়াশিংটন সুন্দর ১৪৪ বলে খেলেন ৬২ রানের ইনিংস। অথচ রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফিট থাকলে এই ম্যাচে খেলারই কথা ছিল না দুজনের। তাই সুনীল গাভাস্কার জানালেন, ‘সামি, জাদেজারা ফিট হয়ে উঠলে হয়তো অনেকগুলো ম্যাচ বসে থাকতে হবে শার্দূল-সুন্দরদের। কিন্তু ওরা দেখিয়ে দিল যে তৈরি হয়ে আছে টেস্টের জন্য।’ শার্দূল ঠাকুর নিজে নৈপুণ্যের কৃতিত্ব দিলেন কোচ রবি শাস্ত্রীকে, ‘ব্যাট হাতে নামার সময়ই কোচ বলে দিয়েছিলেন, এখানে ভালো ইনিংস খেললে মানুষ মনে রাখবে আর সম্মান করবে। সেটাই উজ্জীবিত করেছিল আমাকে।’ এএফপি
মন্তব্য