পিএসজিতে এদিনসন কাভানির সঙ্গে তাঁর একটা ‘ইগো’র লড়াই চলেছিল। কাভানি ম্যানইউতে যোগ দেওয়ার পর পরশুই দুজনের মুখোমুখি লড়াইয়ের সুযোগ হয়। তাতে নেইমার ২, কাভানি শূন্য। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জোড়া গোলে ব্রাজিলিয়ান তারকা পিএসজিকে জিতিয়েছেন ৩-১ ব্যবধানে। এই জয়ে শেষ ষোলোর দুয়ারেও পৌঁছে গেছে ফরাসি ক্লাবটি।
অথচ উল্টোটা হলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের শঙ্কা ছিল নেইমার, এমবাপ্পেদের। ‘গ্রুপ অব ডেথ’-এ সম্ভাব্য সবচেয়ে বাজে শুরু ছিল তাঁদের। ঘরের মাঠে ম্যানইউর কাছে হারের পর আরবি লিপজিগের কাছেও হেরে গিয়েছিলেন তাঁরা। দুই দলের বিপক্ষেই এখন ফিরতি লেগ জিতে টমাস টুখেলের দলই শেষ রাউন্ডের আগে আছে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে। পরশু ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই পিএসজিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন নেইমার। মার্কাস রাশফোর্ড সেই গোল ফিরিয়ে দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রেদের লাল কার্ড আর মার্কিনিয়োসের লক্ষ্যভেদে আবার পিছিয়ে পড়ে ম্যানইউ। অতিরিক্ত সময়ে নেইমারই করেন ৩-১। শেষ ম্যাচে ইস্তানবুল বাসাকশেহিরের সঙ্গে ড্র হলেই নক আউট রাউন্ডে উঠে যাবে তারা। ১ পয়েন্ট পেলে ম্যানইউও উঠবে, তবে লিপজিগের মাঠে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাদের। অবশ্য লিপজিগ এদিন ৪-৩ গোলের রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে ইস্তানবুলে। ৩-১-এ পিছিয়ে পড়েও স্বাগতিকরা ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিল; কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জার্মান ক্লাবটি। গ্রুপে পিএসজি, ম্যানইউ, লিপজিগ—তিন দলেরই পয়েন্ট ৯। তবে হেড টু হেডে লিপজিগের চেয়ে এগিয়ে ম্যানইউ এবং পিএসজি।
আগেই নক আউট পর্ব নিশ্চিত করায় সেভিয়ার বিপক্ষে সেসব কোনো সমীকরণই ছিল না চেলসির। অলিভার জিরুদ সেই আকর্ষণহীন দ্বৈরথটাই রাঙিয়েছেন ৪ গোল করে, চেলসির ৪-০ গোলের জয়ে সব কয়টিই তাঁর। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে হ্যাটট্রিকের রেকর্ডও হয়ে গেছে তাতে। লিওনেল মেসিকে বিশ্রাম দিয়ে বার্সেলোনা ফেরেঙ্কভারোসের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ জিতেছে এদিন ৩-০-তে। একই ব্যবধানে জুভেন্টাসের ডায়নামো কিয়েভকে হারানোর ম্যাচে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো পেয়েছেন তাঁর ক্যারিয়ারের ৭৫০তম গোলটি। লািসওর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড নিশ্চিত করেছে নক আউট রাউন্ড। এএফপি
মন্তব্য