ছবি : মীর ফরিদ
ক্রীড়া প্রতিবেদক : কলকাতায় ২০১৬-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের কার্লোস ব্রাথওয়েটকেই যেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফিরিয়ে আনলেন আরিফুল হক। শেষ ওভারে ওই ক্যারিবীয়র মতোই যে বিস্ফোরক ছিলেন জেমকন খুলনার এই ব্যাটসম্যান!
চার বছর আগের ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর কালকের খুলনার জন্য শেষ ওভারে ছিল দুঃসাধ্য মনে হওয়া চ্যালেঞ্জই। তবে ৬ বলে ২৪ রানের প্রয়োজন বেন স্টোকসকে মারা টানা চার ছক্কায় মিটিয়ে ফেলে দলকে বিশ্ব শিরোপা এনে দিয়েছিলেন ব্রাথওয়েট। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী দিনে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে খুলনাকেও সে রকমই এক জয় এনে দিলেন আরিফুল।
৬ বলে লাগত ২২ রান। অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে প্রথম দুই বলে ছক্কায় ওড়ালেন। পরের বলে সিঙ্গেল নিতে পারতেন, কিন্তু টেইল এন্ডার শহীদুল ইসলামকে আগলে রাখার চিন্তায় রান নিলেন না। পরের দুই বলে আবার টানা দুই ছক্কা। হারতে বসা ম্যাচে তাই আরিফুলের ৩৪ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসে ৪ উইকেটের জয় দিয়ে আসর শুরু খুলনার। সাকিব আল হাসানের ফেরার ম্যাচে মাহমুদ উল্লাহ ও তামিম ইকবালদের মতো শীর্ষস্থানীয় তারকাদের উপস্থিতিতে সব আলো কেড়ে নেওয়া নামটিও আরিফুলেরই।
অথচ শেষ ওভার শুরুর আগেও ২৯ বলে ২৪ রান করা আরিফুলকে টি-টোয়েন্টির পক্ষে বেমানান ব্যাটসম্যানই মনে হচ্ছিল। খুলনার জয়ও মনে হচ্ছিল অনেক দূরের পথ। যদিও চার পেসার নিয়ে খেলা দলটি প্রতিপক্ষকে সাধ্যের মধ্যেই আটকে রেখেছিল। তাতে ডানহাতি পেসার শহীদুল ইসলামের দারুণ অবদান, ১৭ রান খরচায় ৪ উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন একই ওভারে। তবে রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। সাকিব (১৮ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর ১৩ বলে ১৫ রান) আর অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহও (১৭) ৩৬ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরার পর কখনো জহুরুল ইসলাম (৩১), কখনো শামীম হোসেনকে (২৬) নিয়ে এগোনো আরিফুল হারা ম্যাচে জয়ও লিখলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল : ২০ ওভারে ১৫২/৯ (পারভেজ ৫১, তৌহিদ ২৭, মাহিদুল ২১, তামিম ১৫; শহীদুল ৪/১৭, শফিউল ২/২৭, হাসান ২/৪৫, সাকিব ১/১৮)।
জেমকন খুলনা : ১৯.৫ ওভারে ১৫৫/৬ (আরিফুল ৪৮*, জহুরুল ৩১, শামীম ২৬, মাহমুদ ১৭, সাকিব ১৫; সুমন ২/২১, তাসকিন ২/৩৩, কামরুল ১/৩২, মিরাজ ১/৩৬)
ফল : খুলনা ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : আরিফুল হক (খুলনা)।
মন্তব্য