এসএ গেমসে গতকাল তিনটি সোনা জিতেছে বাংলাদেশ। তাতে ছাড়িয়ে গেছে গত আসরের সাফল্য। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা দারুণ খুশি এমন পারফরম্যান্সে। তবে সঠিক পরিকল্পনায় দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন করলে এর চেয়ে আরো ভালো করা সম্ভব, কাঠমাণ্ডুতে মুখোমুখি হয়ে জানালেন তিনি। সেখানে ছিলেন কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিও
প্রশ্ন : চার মাসের অনুশীলনে বাংলাদেশকে সোনা এনে দিয়েছেন মাবিয়া আক্তার। এসএ গেমসে দ্বিতীয় সোনা জিতে তিনি জানাচ্ছিলেন, দুই বছর অনুশীলন করলে আরো ভালো পারফরম্যান্স হতো তাঁর। আপনারও কি তাই মনে হয়?
সৈয়দ শাহেদ রেজা : আমি মাবিয়ার সঙ্গে পুরোপুরি একমত। দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। এটা করতে পারলে অবশ্যই আরো ভালো করতে পারত ওরা। আমি মাবিয়াকে ব্যক্তিগতভাবে আমার অফিসে ডেকে জানতে চেয়েছিলাম, তোমার কোনো পছন্দের কোচ থাকলে জানাতে পারো। আমরা তাঁকে আনার চেষ্টা করব।
প্রশ্ন : গেমস শুরু হওয়ার আগে আপনি জানিয়েছিলেন গতবারের সাফল্য ছাড়িয়ে যেতে চান। সেই লক্ষ্য তো পূরণ হয়ে গেছে এরই মধ্যে।
শাহেদ রেজা : আমি গতবারও বিওএর মহাসচিব ছিলাম, এবারও একই দায়িত্বে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে নেপাল আসার আগে জানিয়েছিলাম গতবারের চেয়ে ভালো করার কথা। সেটা করতে পারায় সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পদকের মতো সোনার সংখ্যায়ও গতবারের চেয়ে ভালো করেছি। আমরা ব্যাংককে ৯ জন বক্সারকে অনুশীলন করিয়েছিলাম। ওদের সাতজনই কোয়ালিফাই করেছে পদক জয়ের লড়াইয়ে। সঠিক পরিকল্পনার জন্য সম্ভব হয়েছে এটা।
প্রশ্ন : আরো সোনা ও পদক জয়ের কয়েকটি ইভেন্ট তো বাকি রয়ে গেছে এখনো?
শাহেদ রেজা : আর্চারি আছে। এই ইভেন্টে ভালো সাফল্য আশা করছি আমরা। ভারোত্তোলন, বক্সিং আছে। ক্রিকেটও আছে। আর শ্যুটিং নিয়ে পুরোপুরি হতাশ নই। আগামীকাল (আজ) কয়েকটি ইভেন্ট আছে, আশা করছি ওরা ভালো করবে।
প্রশ্ন : এবার নেপাল থেকে দেশে ফেরার পর থেকেই কি চেষ্টা করবেন দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলনের?
শাহেদ রেজা : সঠিক পরিকল্পনায় দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্প করতেই হবে। এ ছাড়া আমি এবার দেখলাম, কোনো কোনো ইভেন্টে ২০-২৫টি করে সোনা আছে। এই ইভেন্টগুলো নিয়ে ভাবতে হবে আমাদের।
মন্তব্য