রবিবার । ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯। ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪২৬। ১৭ রবিউস সানি
ক্রীড়া প্রতিবেদক : শেষ রাউন্ডের শেষ দিন পর্যন্ত তাহলে গড়াল জাতীয় ক্রিকেট লিগ। শিরোপার হাসি হাসবে কোন দল, তা নিয়ে অবশ্য অনিশ্চয়তা সামান্য। আজ শেষ দিনে অবিশ্বাস্য কিছু না হলে এই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ট্রফি জিতবে খুলনাই।
তাদের মুঠোয় থাকা শিরোপা কেড়ে নিতে পারে শুধু ঢাকা। সে জন্য কী করতে হবে? মুখোমুখি লড়াইয়ে খুলনাকে হারানোর শর্তটা থাকছে। কাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ঢাকা এগিয়ে আছে ২ রানে। হাতে দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ ৫ উইকেট। তা নিয়ে লিডটা কত দূর এগিয়ে নিতে পারে, সেটি দেখার। বরং খুলনার সামনে সমীকরণটা সহজ। না হারলেই শিরোপার উল্লাসে মাতবে তারা।
ঢাকার প্রথম ইনিংসের ২৭৯ রানের জবাবে ৩ উইকেটে ২৫২ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে খুলনা। ফিফটি করে অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে তুষার ইমরান সেঞ্চুরির দেখা পাননি। আউট হয়ে যান ৮২ রানে। কিন্তু নুরুল হাসান সুযোগটা মিস করেননি। ১৫০ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে গেছেন শিরোপার খুব কাছাকাছি। ৩৭৯-তে অল আউট হওয়া খুলনা পায় ঠিক ১০০ রানের লিড। তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ১০২ রান করে ঢাকা এগিয়ে আছে মাত্র ২ রানে। বোলিংয়ে ৫ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে ৪২ রান করেন শুভাগত হোম।
জাতীয় লিগের প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচও এগোচ্ছে ড্রয়ের পথে। রংপুরের ২৭৪ রানের জবাবে রাজশাহী অল আউট হয় ২৫৪ রানে। ফরহাদ হোসেনের ৬৫ রানে আড়াই শ পেরোয় তারা। ৪১ রানে ৬ উইকেট নেন আরিফুল হক। প্রথম ইনিংসে ২০ রানে এগিয়ে থাকা রংপুর দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষ করে ৬ উইকেটে ২২৮ রানে। তানভীর হায়দার ৭২ ও আরিফুল করেন ৪৮ রান।
এদিকে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে ঢাকা মেট্রো। বরিশালের ৪১৪ রানের চেয়ে ৫২ রান এগিয়ে থামে তারা। মার্শাল আইয়ুব ও শামসুর রহমান করেন সেঞ্চুরি। মাত্র ৮ রানের জন্য শতরান পাননি আল-আমিন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশাল দিন শেষ করে ৩ উইকেটে ৩০ রানে।
মন্তব্য