<p>ক্রীড়া প্রতিবেদক : আবাহনী শুরুতে গোলহীন থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোলে গোলে ভাসিয়ে দিয়েছে আরামবাগকে। তাদের ৩-০ গোলে হারিয়ে তারা এখন ১৮ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। এক ম্যাচ কম খেলে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে বসুন্ধরা কিংস শীর্ষে আছে।   </p> <p>ম্যাচের শুরু থেকেই আবাহনীর দাপট। তবে অত ক্ষুরধার নয়, প্রতিপক্ষ রক্ষণে ভয় ধরানোর মতো নয়। হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্টের অনুপস্থিতি প্রভাব ফেলেছে আকাশি-নীলের আক্রমণভাগে। তাই <img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2019/07 July/06-07-2019/KK_SP_3A.jpg" style="float:left; height:104px; margin:12px; width:157px" />আক্রমণগুলো আরামবাগের রক্ষণে গিয়ে হোঁচট খেয়ে ফিরেছে বারবার। তাই বেশ দুর্ভাবনা নিয়েই তাদের বিরতিতে যেতে হয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামতেই তাদের গোলভাগ্য ফেরে। শুরুর মিনিটে জুয়েল রানা বাঁদিক ধরে ঢুকে পড়ে বক্সে, তাঁকে আটকাতে গিয়ে গোলরক্ষক হিমেল ফাউল করে আবাহনীকে পেনাল্টি উপহার দেন। নাইজেরিয়ান সানডে চিজোবার পেনাল্টি কিকে এগিয়ে যায় এএফসি কাপের সফল দলটি। এই গোলের সঙ্গে সঙ্গে নাইজেরিয়ান ১৫ গোল নিয়ে সবার আগে। এরপর তিনি আরো কয়েকটি দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি, নইলে গতকালও তিনি হ্যাটট্রিক করে মাঠ ছাড়তে পারতেন।</p> <p>লিড নেওয়ার পর চ্যাম্পিয়নদের খেলায় আরো গতি ফেরে। আরামবাগ গোল ফেরতের জন্য মরিয়া হয়ে উঠলে আকাশি-নীলের আক্রমণের তেজ বাড়ে। ৫৬ মিনিটে ডানদিক থেকে উড়ে আসা এক বলে সানডের হেড সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে। ৬০ মিনিটে নাবিব নেওয়াজের শট অল্পের জন্য গোল পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় বাইরে। ৭১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ পেয়েও সানডে পারেননি, হেড করে বল তুলে দিয়েছেন আরামবাগ গোলরক্ষক হিমেলের হাতে। ৭৭ মিনিটে এই গোলরক্ষক আরেক দারুণ সেভ করেন। রুবেলের ক্রসে জুয়েল রানা এত সুন্দর ভলি মেরেও তাঁকে ফাঁকি দিতে পারেননি। ৮৬ মিনিটে অবশ্য আর ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি, নাইজেরিয়ান সানডের কাট ব্যাকে জুয়েলের বাঁ পায়ের গড়ানো শট হিমেলকে ফাঁকি দিয়ে জমা হয় দূরের পোস্টে। আবাহনী এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। এখানেই আসলে আরামবাগের লড়াই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু শেষ বাঁশির আগেও যে আরেকটি চমক ছিল। দুই বদলি ইমতিয়াজ ও শীতল মিলে ইনজুরি টাইমে তৃতীয় গোলের জন্ম দিয়েছেন। বাঁদিক থেকে ইমতিয়াজের দারুণ এক ক্রসে শীতলের হেডে চূড়ান্ত ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০ গোলের।</p> <p>এই জয় পেয়ে দারুণ খুশি আবাহনী কোচ মারিও লামোস। এই পর্তুগিজ কোচও যেন শঙ্কায় ছিলেন প্রথমার্ধের খেলা দেখে, বিরতির পর তাঁর সব শঙ্কা ঘুচিয়ে জয় পায় আবাহনী, ‘আসলে বেলফোর্ট না থাকায় শুরুতে একটু সমস্যা হয়েছিল। আক্রমণগুলো ঠিক ভালোভাবে শেষ হচ্ছিল না, তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পাওয়ায় খেলা বদলে যায়। গোলের আত্মবিশ্বাস ফেরে এবং আবাহনী জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। তবে প্রতিপক্ষ বেশ কঠিন ছিল এবং তারা ফাউল করে খেলেছে।’</p>