<p>নম পেন থেকে প্রতিনিধি : দুই দেশের মধ্যে দারুণ কিছু মিল। আবার ভাষার মতো অমিলও অনেক। ঢাকার রাজপথের মতো ট্রাফিক জ্যাম আছে নম পেনেও। তবে বাংলাদেশের রাজধানীর মতো একটি মাত্র সিগন্যালে কয়েক ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার মতো তেতো অভিজ্ঞতা অন্তত প্রথম দিনে হয়নি। বিমানবন্দর থেকে হোটেল কিংবা হোটেল থেকে জাতীয় স্টেডিয়ামে যাওয়া-আসাটা নির্বিঘ্নেই ছিল।</p> <p>ঢাকায় একটি সিএনজি পেতে যেখানে গলদঘর্ম হতে হয়, নম পেনে প্রথম দিনে সেই বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার মুখেও পড়তে হয়নি। <img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/magazin-2019/March/03-03-2019/KK-Sports-08-03-2019-6.jpg" style="float:left; height:165px; margin:3px 4px; width:270px" />বিমানবন্দর থেকে নেমে মাত্র পাঁচ ডলারেই নম পেন হোটেলরুমে। দরদাম করলে হয়তো আরো কমে আসা যেত! পরে বিকেলে মাঠে যাওয়া ও আসার সময়ই তা অনুভব করেছি। ঢাকার মতো কম্বোডিয়ার রাজপথেও মোটরসাইকেল নামক দ্বিচক্রযানটির ব্যাপক উপস্থিতি। পার্থক্য বলতে এখানে ছেলেদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মেয়েকেও দেখা যায় মোটরসাইকেল চালকের দলে। তাদের বেশির ভাগই অবশ্য নিজের প্রয়োজনে চালক। অমিল আছে আরো। ঢাকার রাজপথে যানবাহনগুলো চলে বাঁ দিক দিয়ে আর নমপেনে চলে ডান দিকে। ফুটপাত দখলে রাখার ক্ষেত্রে ঢাকার মতো নম পেনের জুড়ি মেলাও ভার। দোকানদাররা এখানে তাঁদের পসরা সাজিয়ে রাখেন ফুটপাতের ওপর। আর আছে একটু পরে পরে স্ট্রিট খাবারের দোকান। আর সেখানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও সরব উপস্থিতি। কোথাও কোথাও ফল থেকে জুস বানিয়ে বিক্রি করছে মেয়েরা। দামটাও ঢাকার সঙ্গে বেশ ফারাক। এক কেজি আপেল ছয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পাঁচ শ টাকা), চড়া মূল্য অন্য ফলেও।</p> <p>এই দেশে প্রবেশের দরজাটা অবশ্য বেশ মসৃণই ছিল। যাত্রার শুরুটা মোটেও মধুর ছিল না। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দনের ইমিগ্রেশনে খানিকটা হয়রানি হতে হয়েছিল। তবে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে স্বচ্ছন্দেই পেরোতে পেরেছিলাম ট্রানজিট। এরপর নম পেন বিমানবন্দর। এখানে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই সব কিছু সারতে মিনিট পাঁচেক লেগেছে। নিরাপত্তা সব জায়গায় আছে, তবে এর নামে হয়রানিটা সেভাবে নেই। এ কারণেই হয়তো নম পেনে পর্যটকও আসা শুরু হয়েছে অনেক। আমরা মালিন্দ এয়ারলাইনসে একই বিমানেই তো ১৫-২০ জন বাংলাদেশি এসেছি নম পেনে। সঙ্গে চীনা, মালয়েশিয়ানরা ছাড়াও কিছু ইউরোপিয়ান ভ্রমণপিপাসুও ছিলেন আমাদের দলে। এঁদের বেশির ভাগই আবার অন অ্যারাইভাল ভিসায় এসেছেন এখানে। সহজ ভিসার জন্য সংখ্যাটা বাড়লে কম্বোডিয়ার ভাগ্যের চাকাও হয়তো ঘুরে যাবে। জৌলুসহীন নম পেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসবে চাকচিক্য। সব দিক থেকে অন্তত ভ্রমণপিপাসুদের জন্য দুয়ার খুলেই রেখেছে কম্বোডিয়ানরা।</p>