লেবানিজ-আমেরিকান লেখক কাহলিল জীবরান একাধারে কবি ও চিত্রশিল্পী। তাঁর ‘দ্য প্রফেট’ বইটি ১৯২৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এত বছর পরেও এই বইয়ের আবেদন এতটুকু কমেনি। মূল চরিত্র আল-মুস্তাফা।
বিজ্ঞাপন
তিনি ১২ বছর ধরে অপেক্ষা করছেন জাহাজের জন্য, যাতে করে তিনি স্বদেশে ফিরে যেতে পারেন। এই ১২টি বছর কাটিয়েছেন ওরফেলিসে। আল-মুস্তাফার একাকী সময়, দুঃখের সময়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে ওই দেশের মানুষ ও মাটি। একদিন পাহাড়ের ওপর উঠে তাঁর জন্য আসা জাহাজকে দেখতে পেলেন। জাহাজে তাঁর স্বদেশিরা অপেক্ষা করছিল। তাঁর মন আনন্দে ভরে উঠল আবার একই সঙ্গে তাঁকে বিষণ্নতায়ও ঘিরে ধরল। কারণ এই ১২ বছরে তিনি ওরফেলিসের জনগণের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাই বিদায়বেলায় মানুষজন একে একে মুস্তাফাকে যেতে নিষেধ করে। লেখকের ভাষায় ‘চিরকাল এমনই হয়েছে, বিচ্ছেদের মুহূর্ত না আসা পর্যন্ত ভালোবাসা তার গভীরতা বুঝতে পারে না। ’ ওরফেলিসে মুস্তাফা যেদিন প্রথম এসেছিলেন, তখন আলমিত্রাই তাঁকে প্রথম দেখেছিলেন এবং বিশ্বাস করেছিলেন। তিনি যাওয়ার আগে মুস্তাফাকে তাঁর সত্য উপলব্ধি দিয়ে যেতে বলেন। তখনই মুস্তাফা একে একে জন্ম, মৃত্যু, বিরহ, মিলন, সন্তান, বন্ধুত্বসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর আত্মোপলব্ধি বর্ণনা করতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘তোমার সন্তানেরা তোমার সন্তান নয়,/তারা জীবনের জন্য জীবনের আকুল প্রত্যাশার পুত্র-কন্যা। /তারা তোমাদের মাধ্যমে আসে, কিন্তু তোমাদের ভেতরে জন্ম নেয় না। /এবং যদিও তারা তোমাদের সঙ্গে থাকে, তারা তোমাদের সম্পদ নয়। ’
অনুলিখন : পিন্টু রঞ্জন অর্ক