রাজহংসীর ডানায় দেখা মেঘগুলো বেশ দাপুটে
সিঁদুরে, সুহাসিনী, কাঁদুনে বুড়ি আর ধোঁয়াটে।
সদ্য ফোটাগুলো যেন যাযাবর নাচুনে
বোকা মেঘ হাসে নগ্ননীলে মত্ত প্রেমের নেশাতে
কারো বা বেলা ক্ষয় বেহিসাবি হাসাহাসিতে
মেঘমালার সব খেলাই যে থাকে দেবতার ঝাঁপিতে।
হিমালয় ডিঙিয়ে যে জনা বহুগামিতার পূজারি
সময়ের শেষে সে তো নিষ্ফলা ব্যভিচারী।
শুধু প্রেয়সী মেঘরাই অনত পর্বতের মিলনে
ভালোবেসে ঘর বাঁধে অনুক্ত পাষাণে।
বিজ্ঞাপন
আনন্দ-বেদনার কাব্য শেষে যখনই ধরণি হাসল
পক্ষিকুলের চরাচরে বর্ষণের আগমনী বাজল
রামধনুর ওংকারে সৃষ্টির ঘোষণা এলে—
ফসলের উৎসবের ঘোমটা ওঠে জল জ্যোত্স্নার তোড়ে।
অবশেষে অপেক্ষায় মেঘ আসে সৃষ্টির সোঁদা গন্ধে—
সাদাকালো বসনে-অনাদিকালের বৃষ্টি বউয়ের ছন্দে।
বহুকালের এমনই ধারা ত্রিদশের যদিও জানা
তবু চলে বোকা প্রেমের নির্বোধ বেচাকেনা
বহুগামী ঘাটে নতুনের ভিড়ে স্বপ্ন আর সৃষ্টি দূরগামী
বন্ধনহীন-বন্ধন, এক জীবনের অশ্লীল প্রণামী।
শস্যেরাই শুধু জানে কৃষ্ণমেঘের প্রসবের আকুতি
গঙ্গোত্রী থেকে চিত্রাপাড়ে রাজহংসীর যে একচ্ছত্র বসতি।