<p>মানবমনের জটিলতা, উত্থান-পতন, সংগ্রাম, দারিদ্র্য, অর্থের প্রতি লোভসহ নানা সূক্ষ্ম বিষয় নিয়ে এগিয়েছে শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসের কাহিনি। ‘ঐ শুকনো কাঠপানা চেহারা, বই মুখস্থ করে করে গায়ে কোথাও একফোঁটা রক্ত পর্যন্ত নেই। ঠেলা দিলে আধখানা দেহ খসে পড়ছে বলে ভয় হয়। গলার স্বরটা এমনি চিঁচিঁ করে যে, শুনলে ঘৃণা হয়।’ সুরেশের এই উক্তিতে বোঝা যায়, সে ব্রাহ্মসমাজকে কতটা ঘৃণা করে। তবে এই মেয়েটিকেই সে একদিন ভালোবেসে দিশেহারা হয়ে পড়বে কে জানত। এই ভালোবাসাটা শুধু তাকে নয়, একই সঙ্গে পুড়িয়েছে আরো দুটি প্রাণ, দুটি পরিবারকে। সুরেশ ও মহিম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মহিম অচলার প্রেমে পড়লে সুরেশ কটাক্ষ করে বলেছিল, ‘ছি ছি! শেষ পর্যন্ত এক ব্রাহ্মমেয়ের কাছে ধরা দিলে...!’ মহিমের ভালোবাসা ভাঙতে গিয়ে সুরেশ নিজেই অচলার প্রেমে পড়ে যায়। অচলা একদিকে মহিমকে পেতে চায়, অন্যদিকে সুরেশকেও ছাড়তে চায় না। উপন্যাসটি পড়ার পর প্রশ্ন জেগেছে, সুরেশ, মহিম, নাকি অচলা—আসলে কে অপরাধী?</p>