হাই স্কুলে পড়ার সময় প্রথম সিলেবাসের বাইরের বই পড়ার সুযোগ মেলে। আমার পড়া প্রথম বই ডেল কার্নেগির ‘সফল হওয়ার সহজ উপায়’। বইটি আমাকে ধৈর্যশীল হতে সাহায্য করেছে। পরবর্তী সময়ে ‘করুণা শিশু সদনে’ এসে বইয়ের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে। এখানে হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের ‘নাডা দ্য লিলি’, ‘হার্ট অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এবং এমিলিও সালগ্যারির ‘মিস্ট্রিজ অব দ্য ডার্ক জাঙ্গল’ বইগুলো আমাকে সাহস জুগিয়েছে। আমার পড়া সেরা দুটি বই—গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের ‘ওয়ান হানড্রেড ইয়ারস অব সলিচিউড’ এবং চার্লস ডিকেন্সের ‘গ্রেট এক্সপেটেশন’। মার্কেস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন, পরিশ্রম আর ইচ্ছাশক্তি থেমে গেলেই একজন মানুষের আসল ‘মরণ’ হয়। সর্বশেষ পড়েছি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’। এটি আমার পড়া উপন্যাসগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। মূল চরিত্র নিতাইয়ের বলা দুটি লাইন এখনো মনে আছে—‘কালো যদি মন্দ তবে/কেশ পাকিলে কাঁদো কেনে?’ লাইনগুলো আমাকে নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং, মহাত্মা গান্ধী কিংবা ডেসমন্ড টুটুর মতো সংগ্রামী নেতাদের কথা মনে করিয়ে দেয়।
মন্তব্য