<p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে রিকশা চালাচ্ছেন মধ্য বয়সী রমজান আলী। রিকশার চাকায় ঘোরে তাঁর সংসারের চাকা। সপ্তাহে একবার বাড়িতে টাকা না পাঠালে না খেয়ে থাকতে হবে স্ত্রী-সন্তান আর বৃদ্ধা মায়ের। সেই ভাবনা থেকেই শত কষ্টের মাঝেও রোদে পুড়ে রিকশা চালাচ্ছেন। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। একটুখানি পানির পিপাসা মেটাতেও প্রয়োজন হয় ন্যূনতম ২০ টাকার। টাকার ভয়েই আর ঠাণ্ডা পানিও খাওয়া হয় না। পথের মাঝে হঠাৎই এক যুবক রিকশা থামানোর সংকেত দেন। এক পাশে দাঁড়াতেই হাসিমুখে এক বোতল ঠাণ্ডা পানি আর এক প্যাকেট স্যালাইন দেন। তপ্ত রোদে মনটা শীতল এক আনন্দে ভরে ওঠে রমজান আলীর। সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এভাবেই রমজান আলীর মতো খেটে খাওয়া মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">রাস্তাঘাটে বিনা মূল্যের বিশুদ্ধ পানির সংকটে নিম্ন আয়ের মানুষ পর্যাপ্ত পানির চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। এসব মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে ও ক্লান্তি দূর করতে বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশব্যাপী খাওয়ার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করছে। এ ছাড়া কিছু স্থানে শরবত বিতরণ করা হয়।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">সম্প্রতি রাজধানী ঢাকাসহ মুন্সীগঞ্জ, দিনাজপুর, রাজশাহী, পটুয়াখালী, নড়াইল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, বগুড়া, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলার প্রায় কয়েক হাজার দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও চর্মকারের মধ্যে খাওয়ার স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি ও শরবত বিতরণ করে বসুন্ধরা শুভসংঘ। কিছু স্থানে নিম্ন আয়ের এসব খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তপ্ত রোদ মাথায় নিয়ে সড়কে শৃঙ্খলায় নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশের মধ্যেও স্যালাইন ও পানি বিতরণ করা হয়।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">নড়াইল জেলা শহরের রূপগঞ্জ বাজারে বসুন্ধরা শুভসংঘের দেওয়া বিশুদ্ধ ঠাণ্ডা পানি ও স্যালাইন পেয়েছেন ভ্যানচালক আবু জাফর। এ সময় তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.1pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">এই গরমে শরীল (শরীর) না চললিও সংসারের খরচ চালাতি বাধ্য হইয়েই ভ্যান নিয়ে বার হতি (বের হতে) হয়। একখান খ্যাপ নিয়ে রূপগঞ্জ বাজারে আইসে দেহি (দেখি) পানি আর সিলাইন (স্যালাইন) দেচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ, আমাগে তো সামর্থ্য নাই যে এইগুলো কিনে খাব। এহন (এখন) এই  পানি আর সিলাইন খাইয়ে একটু শান্তি পালাম।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.1pt">’</span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">রাজধানীর কাফরুলে বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় খাবার পেয়ে তারা জানায়, গরমের কারণে মানুষ খুব একটা বাইরে বের হয় না। তাই  আয়-রোজগারেও টান পড়েছে। আগে দুপুরে বাইরে পেটভরে খেতে পারলেও এখন আয় কমে যাওয়ায় রুটি ও কলা খেয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারতে হয় তাদের। বসুন্ধরা শুভসংঘ খাবার দেওয়ায় আজ পেটভরে দুপুরের খাবার খেতে পারবে। এ জন্য তারা বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">ময়মনসিংহ মহানগরীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের দেওয়া পানি ও স্যালাইন পেয়ে পেশায় চর্মকার আবু জাফর জানান, সারা দিনে তাঁর অল্প রোজগার হয়। এই অল্প আয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবারের দৈনিক তিন বেলার পরিপূর্ণ খাবার জোগাড় করা সম্ভব হয় না। অর্ধাহারে দিন পার করেন। বাড়িতে নেই কোনো রেফ্রিজারেটর। এই অভাবের মাঝে ঠাণ্ডা পানি ও স্যালাইন কিনে খাওয়া অসম্ভব। এ সময় তিনি বিশুদ্ধ ঠাণ্ডা পানি ও স্যালাইন পেয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মনসুর রহমান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.1pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">যেকোনো আবহাওয়ার মাঝেই মানুষের সুবিধার্থে আমাদের রাস্তায় ডিউটি করতে হয়। এই কয়েক দিনের তীব্র গরমে রোদের মধ্যে ডিউটি করা খুব কষ্টকর। ডিউটি রেখে পানি কিনে খাওয়ার মতোও পরিস্থিতি থাকে না। তীব্র গরমে তৃষ্ণার্ত মানুষকে ঠাণ্ডা পানি ও স্যালাইন দিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ আবার প্রমাণ করল তারা শুভ কাজে সবার পাশে আছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.1pt">’</span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">স্যালাইন, পানি ও শরবত বিতরণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে আয়োজকরা বলেন, এই গরমে শ্রমজীবী মানুষকে পানি ও শরবত খাওয়াতে পেরেছি, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। বসুন্ধরা শুভসংঘ সর্বদা শুভ কাজে সবার পাশে আছে এবং থাকবে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">তাঁরা আরো বলেন, তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রচণ্ড গরমে শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি আর কষ্ট বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র রোদের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক ও ভ্যানচালকরা কাজ করতে পারছেন না। এদিকে কাজ না করলে খাবার জুটবে না। তাই ক্ষুধার তাড়নায় প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন অনেকে। চলতি পথে পানি ও ঠাণ্ডা শরবত পেয়ে প্রশান্তির হাসি ফুটে ওঠে খেটে খাওয়া মানুষের মুখে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"> </p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"> </p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"> </p>