জন্মের পরই দেখেছে প্রতিবন্ধী বাবার চলতে না পারার কষ্ট। নিজে হাঁটতে শিখলেও অসহায়ভাবে থেমে থাকা দেখে খুব দুঃখ পেত নিলয়। অভাবের সংসার চলে প্রতিবন্ধী বাবার অটোরিকশা চালানোর আয়ে। এত কিছুর মধ্যেও টানাপড়েনের সংসারে খিরাটি এ কে হাই স্কুল থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার মোছা. নিলয়।
প্রতিবন্ধী বাবার শক্তি নিলয়
শুভসংঘ ডেস্ক

এ সময় কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘আমরা দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের একত্র করার চেষ্টা করেছি, যাদের কেউ এতিম, কেউ শারীরিক প্রতিবন্ধী, হতদরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠেছে। ১০৪ জন শিক্ষার্থীকে নগদ ২৫ হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতিবছর এই আয়োজন করব।
বাবা মো. ফরহাদ মিয়ার স্বপ্ন, তাঁর চার মেয়েই উচ্চশিক্ষিত হয়ে করবে সম্মানজনক কোনো চাকরি। সেই চিন্তা থেকে কষ্ট করে সংসার চালালেও মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহ দিয়েছেন, অটোরিকশা চালানোর আয় দিয়ে যেখানে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয় ফরহাদ মিয়াকে।
তিনি বলেন, ‘আমার বড় মাইয়াটা অন্য বোনদের কথা চিন্তা করতে গিয়ে পড়াশোনায় আগাইতে পারে নাই। তার ছোটজন গত বছর পাস (এসএসসি) করলেও নিলয় এ বছর পাস করছে।
নিলয় বলে, ‘বাবার চলতে না পারা আমাদের কখনো থামাতে পারেনি। বাবা প্রতিবন্ধকতা আমার শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। আমি সফলতার সঙ্গে শিক্ষাজীবন শেষ করতে চাই।’
সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ
- মো. মিজানুর রহমান, ওসি, পাটগ্রাম থানা লালমনিরহাট

প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।

নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ
- দীন মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ্, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাট

গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।

মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন
- মো. মাহমুদুন-নবী, ওসি, হাতীবান্ধা থানা লালমনিরহাট

বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবে—এমনটাই আশা করি।

বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক
- মনোয়ার হোসেন লিটন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট

সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।