পিএইচএ ভবনের মঞ্চের সামনের সারিতে বসে আছি। বাঁ দিকের চেয়ারে চোখ চলে গেল। মিলন ভাই (ইমদাদুল হক মিলন) বসে আছেন। আগতরা পাশে বসে একের পর এক ছবি তুলছেন।
বিজ্ঞাপন
শুভসংঘের জাতীয় সম্মেলন ছিল নানা কারণেই বৈচিত্র্যময়। অন্তত হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করলাম তেমনটাই। দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছিল। মেঘের আবরণের নিচে শুভসংঘের বন্ধুরা যেন মেতে উঠেছিলেন এক নিরাভরণ সুপ্ত উচ্ছ্বাসে। অডিটরিয়ামে ঢুকতে গিয়ে দেখলাম, ইট বিছানো রাস্তার দুই পাশে সবুজ গাছগুলো যেন আরো বেশি সবুজ হয়ে উঠেছিল। মূল ভবনে ঢুকতেই চোখে পড়ল দুই দিকে পলিসাইনে বড় করে টানানো শুভসংঘের পুরনো সংখ্যা। বেশ কয়েক বছর আগে নিয়মিত সাহিত্য সংখ্যা বের হতো, তারই একটায় চোখ আটকে গেল। আমার লেখা গল্প ‘দিয়েছিলে একরাত্রি’। শুভসংঘের প্রতিটি পৃষ্ঠাই যেন একেকটি জ্বলজ্বলে স্মৃতি। তবে এত বড় আর বর্ণময় আয়োজন এটাই প্রথম। চোখ আটকে গেল কিছু বিদেশি তরুণ-তরুণীর পারফরম্যান্স দেখে। সোমালিয়ান, নেপালিজ, ভুটানিজ—এরা সবাই শুভসংঘের বন্ধু। বাংলাদেশে পড়তে এসে এঁরা নিজেদের শুভসংঘের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। ফলে তাঁরা নিজস্ব সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশি সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটিয়ে যে পরিবেশনা করলেন, তা শুধু আমাকেই নয়, সারা দেশ থেকে আসা বন্ধুদের দারুণ আনন্দ দিয়েছে।