<p>এতিম শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল শুভসংঘ শেরপুর জেলা কমিটি। গত ১৭ মে শুক্রবার দুপুরে শহরের চাপাতলি এলাকার সরকারি বালিকা শিশু পরিবারে (এতিমখানা) এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় উন্মুক্ত বিষয়ে শিশু পরিবারের ৫০ জন এতিম কন্যাশিশু অংশগ্রহণ করে। সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া লাকি আক্তার প্রথম, দশম শ্রেণি পড়ুয়া সানজিদা আক্তার সানিয়া দ্বিতীয় এবং রানু আক্তার তৃতীয় স্থান অর্জন করে। শুভসংঘের পক্ষ থেকে বিজয়ী তিনজন ছাড়াও অংশগ্রহণকারী সেরা ১৬ জনকে বই পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া শিশু পরিবারের অফিসকক্ষে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার কাম মিনি জাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য শুভসংঘের পক্ষ থেকে বই দেওয়া হয়। বই গ্রহণ করেন তত্ত্বাবধায়ক মো. বিল্লাল হোসেন। বিজয়ী খুদে আঁকিয়েদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটির আহ্বায়ক নবারুণ পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ। এ সময় উপস্থিত অতিথিরা শিশু পরিবারে থাকা সুবিধাবঞ্চিত এসব এতিম শিশুর চমৎকার অঙ্কন দেখে অভিভূত হন এবং তাদের আঁকার প্রশংসা করেন। আবুল কালাম আজাদ বলেন, সুযোগ পেলে এসব এতিম শিশুও তাদের মেধার পরস্ফুিটন ঘটাতে পারবে। তাদের মাঝে সে সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি শিশুদের পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি সৃজনশীল বই পড়া, লেখা, আঁকা, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বেশি বেশি বই পড়ার মাধ্যমে আমরা দেশকে জানব, বিশ্বকে জানব। আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে। নিজের দেশ এবং দেশের মানুষ সম্পর্কে না জানলে দেশের প্রতি মমত্ববোধ তৈরি হবে না। মা, মাটি, দেশ একই সূত্রে গাঁথা। মায়ের মতোই দেশকে ভালোবাসতে হবে। দেশের সেবায়  নিজের জীবন উৎসর্গ করতে  হবে। এ সময় শুভসংঘ শেরপুর জেলা কমিটির সভাপতি মানবাধিকারকর্মী শামীম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রক্তসৈনিক সোহেল রানা, আইটি স্পেশালিস্ট রইছ উদ্দিন হৃদয়, শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক মো. বিল্লাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।</p>