রবিবার । ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯। ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬। ১০ রবিউস সানি ১৪৪১
নগরের বাকলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘আনন্দ ভ্রমণে’ ব্যানার সম্বলিত একটি বাস থেকে ২৩ কেজি (প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার) ইয়াবা জব্দ করেছিল র্যাব। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত আলোচিত ওই ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করেন বাকলিয়া ও নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দুজন তদন্তকারী কর্মকর্তা। কিন্তু তাঁরা কেউ ইয়াবা কারবারিকে শনাক্ত করতে পারেননি। তাই ‘আসামির নাম-ঠিকানা সঠিক নয়’ মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। কিন্তু আদালত এতে সন্তুষ্ট না হয়ে পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। অবশেষে সেই আলোচিত কারবারি রবিবার রাতে ধরা পড়ল পিবিআইয়ের হাতে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবীর জানান, ওই ইয়াবা কারবারির নাম আবুল কাশেম ওরফে শাহিন (৩০)। তিনি কক্সবাজার জেলার রামুর ঈদগড় ইউনিয়নের কাটাজঙ্গল গ্রামের মৃত নবী হোসেনের ছেলে। আগে ছিলেন গাড়ির হেলপার। পরবর্তীতে ডাকাতি, খুন ও ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়েন। এসব ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও মাদকের মামলা রয়েছে।
সোমবার পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈন উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আবুল কাশেম নিজেকে বাংলাদেশি নাগরিক দাবি করেন। কিন্তু তাঁর বাবা নবী হোসেন ৪০ বছর আগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন মিয়ানমার থেকে। পরে গোলজার বেগমকে বিয়ে করে তিনি রামু এলাকায় বাস করেন। এই সংসারে কাশেমের জন্ম। তাঁর আরেক ভাই শাহজাহান বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী। এক বোন মালয়েশিয়ায়।’
তিনি জানান, ২০১৩ সালে কক্সবাজারে ঈদগড়-ঈদগাঁও-বাইশারী সড়কে হিল লাইন সার্ভিসে হেলপার হিসেবে চাকরি করতেন কাশেম। পরে ডাকাত দলে যোগ দেন। ‘এ ছাড়া ঈদগড় বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূরুচ্ছফাকে নববিবাহিত স্ত্রীর সামনে শয়নকক্ষে গুলি করে হত্যা করেন কাশেম।’-যোগ করেন পিবিআই কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন।
মন্তব্য