‘প্যারানরমাল’-এ আহমেদ আমিন
নেটফ্লিক্সের বদৌলতে পুরো পৃথিবীটা যেন হাতের মুঠোয়। স্ট্রিমিং সাইটটির কল্যাণে বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ভাষার নানা স্বাদের সিরিজ দেখতে পাচ্ছে দর্শক। ভারতের ‘স্যাক্রেড গেমস’, স্পেনের ‘লা কাসা দে পাপেল’ কিংবা কোরিয়ার কে-ড্রামাগুলো জনপ্রিয়তায় টক্কর দিচ্ছে ইংরেজি ভাষার সিরিজকেও। এবার লাখো দর্শকের মন কেড়েছে মিসরীয় সিরিজ ‘প্যারানরমাল’। ৫ নভেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর থেকে দর্শকদের আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে সিরিজটি। মেডিক্যাল অধ্যাপক ডক্টর রিফাত ইসমাইলকে ঘিরে গল্প। অনেক বছর পর তার সঙ্গে দেখা হয় কৈশোরের বান্ধবী রহস্যময়ী নারী ম্যাগির। এই দেখা হওয়াটাই মোড় ঘুরিয়ে দেয় তার জীবনের। ঘটতে থাকে সব ভূতুড়ে ঘটনা। এ আধিভৌতিক ঘটনাগুলো রিফাতের ভেতর গড়ে ওঠা এত বছরের বৈজ্ঞানিক যুক্তিগুলো টালমাটাল করে দেয়। ১৯৬০ দশকের প্রেক্ষাপটে সিরিজটি। প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ আমিন এবং রাজানে জামাল। পরিচালনা আমার সালামা।
‘প্যারানরমাল’ তৈরি হয়েছে মিসরের বেস্ট সেলার লেখক আহমেদ খালেদ তৌফিকের উপন্যাস অবলম্বনে। ‘গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত এ লেখককে আরবি ভাষায় প্রথম ভৌতিক গল্পের লেখক মনে করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের বইবিমুখ তরুণসমাজকে বইয়ের পাতায় ফিরিয়ে এনেছেন খালেদ তৌফিকই। ২০০৬ সালে তাঁর উপন্যাস পড়ার পর সালামা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন সিরিজটি নির্মাণের। তখনই ই-মেইলে যোগাযোগ করেন লেখকের সঙ্গে। নির্মাতা হিসেবে আমার সালামা তখন একেবারে অপরিচিত নাম, তবু গল্পের প্রতি তাঁর তুমুল আগ্রহ দেখে লেখক রাজি হয়ে যান। ‘দ্য হন্টিং অব ব্লাই ম্যানর’-এর দর্শক নেটফ্লিক্সের কাছ থেকে আরেকটি ভালো মানের হরর সিরিজের প্রত্যাশায় ছিল। প্রত্যাশার পুরোটুকুই মিটিয়েছে ‘প্যারানরমাল’। এটি শুধু নিছক হরর সিরিজ নয়, পরতে পরতে মিশে আছে হাস্যরসের উপাদান। হরর-কমেডির মিশ্রণে সিরিজ নির্মাণ বেশ জটিল, কাজটা দারুণভাবে করেছেন নির্মাতা। প্রধান চরিত্রের অভিনেতা আহমেদ আমিন পেশায় একজন কমেডিয়ান।
ছয় পর্বের ‘প্যারানরমাল’ নিয়ে ব্যাপক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়ায় সিরিজটির সিক্যুয়াল তৈরির ঘোষণা এসেছে এরই মধ্যে।
মন্তব্য