শবনম ফারিয়া
সাজিয়া সুলতানা পুতুল
আমার স্বামী তো লন্ডনে। সে কারণে পুরো ঈদটা শ্বশুরবাড়িতে থাকব না। ঈদের দিন ঢাকাতেই থাকব। ঈদের দু-এক দিন পর সিলেটে যাব শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করতে। আমি এখনো বাবার বাসাতেই আছি। সে জন্য বিবাহিত জীবনের আমেজ এখনো খুব একটা বুঝতে পারছি না। তবে স্বামী আমাকে ঈদের উপহার পাঠিয়েছে। আমিও শাশুড়িকে পাঠিয়েছি। আমার দুই ননদ আছে, তাদেরও উপহার দিয়েছি। ওরাও আমাকে পাঠিয়েছে। জুলাইয়ে লন্ডনে ঘুরতে যাব, ওর সঙ্গে কিছুদিন থেকে আসব।
তমা মির্জা
এবার আমেরিকায় ঈদ করব। আমার শ্বশুরবাড়ির বেশির ভাগ সদস্যই সেখানে। শুধু আমার শাশুড়ি আর বড় আম্মু এখানে। বড় ননদকে ‘বড় আম্মু’ ডাকি। আমি তো থাকছি না, তাই অগ্রিম উপহার-সালামি পেয়েছি। আমার জন্য সুন্দর কিছু উপহার প্যাকেট করে রেখেছেন মা। সেখানে লেখা—‘আদরের প্রিয় বউমাকে আমার দোয়া’। এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা গিফট। আমিও তাঁদের জন্য কেনাকাটা করছি। আমি আসলে ও বাড়ির বউ নই, মেয়ে হয়ে গেছি। আমার যে বড় আব্বু, বড় ননদের জামাই, তাঁদের কোনো মেয়ে নেই, আমাকেই তাঁরা মেয়ে বানিয়ে নিয়েছেন।
শবনম ফারিয়া
স্বামী, শ্বশুরবাড়ি নিয়ে কিছু বলতেই চাচ্ছি না। মানুষজন নজর দিচ্ছে। আগে ফেসবুকে স্বামীর সঙ্গে ছবি দিতাম, এখন থেকে সেটাও দেব না। ওকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠানেও আর যাব না, মানুষ নানা রকম কথা বলে। নিশো ভাইয়ের [আফরান নিশো] বউ আছে, পাঁচ বছরের ছেলে আছে। কেউ কিন্তু তাঁদের ছবিও দেখতে পায় না। ভাবছি, আমিও সেই পন্থা অবলম্বন করব। এখন থেকে শুধু আমার কাজ নিয়েই কথা বলব। আর ঈদের বিষয়ে সংক্ষেপে বলছি, বাবার বাড়িতে ঈদ করব। আম্মু তো একা। তবে এক ফাঁকে শ্বশুরবাড়ি অবশ্যই যাব। শ্বশুরবাড়িতে যারা আত্মীয়-স্বজন তাদের সবাইকে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব। শুটিংয়ের ব্যস্ততায় এখনো কেনাকাটা করতে পারিনি। ঈদের আগ মুহূর্তেই করব।
সিয়াম আহমেদ
আমার সিনেমার শুটিং চলছে। কেনাকাটা কিছুই করতে পারছি না। কেনাকাটার দায়িত্ব আমার স্ত্রী অবন্তির ওপর। ও নিয়মিতই শপিংয়ে যাচ্ছে। আমার আব্বু-আম্মু, ওর পরিবারের সবার জন্যই কেনাকাটা করছে। শ্বশুরবাড়ি যেহেতু কাছেই, ঈদের দিন তো যাবই। তবে বাসাতেই থাকব বেশি, অনেক বন্ধু-বান্ধব আসবে। সবাইকে নিয়েই ঈদ করব।
মন্তব্য