<p>ভারতের গুজরাটের পারুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভেচ্ছাদূত নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। খবরটি এরই মধ্যে কালের কণ্ঠ’র পাঠকরা জেনেছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়টির কনভোকেশনে যোগ দিয়েছেন ফারিয়া। গতকাল নিজের ফেসবুকে কনভোকেশনের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। একটি ছবিতে আটকে যায়। কৃষ্ণাঙ্গ এক যুবকের হাত থেকে নিজের প্রতিকৃতি নিচ্ছেন ফারিয়া। কৌতূহল থেকেই ফারিয়ার কাছে জানতে চাওয়া, এই ছবির পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গল্প আছে? ফারিয়া বললেন দারুণ এক ঘটনা, ‘ও পারুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আফ্রিকান ছাত্র, আমার ভক্ত। কনভোকেশনে যাওয়ার পর আমাকে দেখে তৎক্ষণাৎ ছবিটি আঁকল। পরে মঞ্চে উঠে আমার হাতে তুলে দিল। দারুণ একটা অনুভূতি হয়েছিল সেদিন।’</p> <p>ভারতের গুজরাটের খুবই নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পারুল বিশ্ববিদ্যালয়। ফারিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার পেছনেও আছে দারুণ একটা গল্প। ফারিয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টির অনেক শিক্ষার্থী ভারতের পশ্চিমবাংলার, কিছু বাংলাদেশেরও আছে। আমিসহ কয়েকজন তারকাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি জরিপ চালিয়েছিল। সেখানে আমার নামটি সবার ওপরে জায়গা করে নেয়। গত বছর থেকে তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকে। ফাইনালি গত মাসে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের শুভেচ্ছাদূত নির্বাচিত হয়েছি। একজন বাংলাদেশি অভিনেত্রী হয়েও গুজরাটের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভেচ্ছাদূত হতে পেরেছি—এটা আমার কাছে অনেক সম্মানের। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য, বিশেষ করে সার্কভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করব আমি। আগামী এক বছর আমি বিশ্ববিদ্যালয়টির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করব।’</p> <p>শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্তর্জাতিক কনভোকেশনে অংশ নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য দেন ফারিয়া। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সেখানে কী বলেছেন ‘মুজিব—একটি জাতির রূপকার’ অভিনেত্রী? ফারিয়া বলেন, ‘গতকালের [শুক্রবার] বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার জীবনের অনেক কিছুই শেয়ার করেছি। আমার স্ট্রাগল, জীবনের অভিজ্ঞতা, জীবনে আমি কী শিখেছি, কী ধরনের মূল্যবোধ ও নৈতিকতার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছি—এগুলোই শেয়ার করেছি। শুক্রবার ওদের সব মিলিয়ে বিশ্বব্যাপী দুই হাজারেরও বেশি ছাত্র পাস করে বেরিয়েছে। আন্তর্জাতিক কনভোকেশন ছিল সেটা।’</p> <p> </p>