<p>বিভিন্ন ভাষার পাঁচ হাজার ভারতীয় ধ্রুপদী চলচ্চিত্র সংরক্ষণ ও পুনর্মুদ্রণ করার উদ্যোগ নিয়েছে ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অব ইন্ডিয়া [এনএফএআই]। যেন আধুনিক প্রদর্শন ব্যবস্থায় ছবিগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ উপভোগ করতে পারে। সত্যজিৎ রায়ের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ও ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’ ছবি দুটির পুনর্মুদ্রণ এরই মধ্যে  করা হয়েছে। এই বছর ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব ও  কান ক্লাসিকসে ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’ প্রদর্শিত হয়েছে। ভারতীয় ধ্রুপদী ছবিগুলো বিশ্বের বিভিন্ন উৎসবে এভাবে নিয়মিত প্রদর্শনের ব্যবস্থাও নেবে এনএফএআই।</p> <p>ছবিগুলোর নতুনভাবে ফোর কে রেজল্যুশনে কনভার্ট করা হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটি। ছবির সাউন্ডও নতুনভাবে আয়োজন করা হবে। এর জন্য পুনেতে নতুন স্টুডিও ও সংরক্ষণাগার তৈরি করা হয়েছে। গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবের ‘ফিল্ম বাজার’-এ ভারতীয় প্যাভিলিয়নে ধ্রুপদী বিভিন্ন ছবির আসল পোস্টার প্রদর্শন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এগুলো সংরক্ষণ করেছে এফএআই।</p> <p>এনএফএআই-এর সাবেক পরিচালক প্রকাশ ম্যাগডাম ‘ভ্যারাইটি’কে বলেছেন, “এই পদক্ষেপকে সাহসী বলতেই হয়। এটা আরো অনেক দেশের জন্য উদাহরণ হতে পারে। আর্কাইভের সংগ্রহে এসেছে বেশ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র। এর মধ্যে ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ [১৯৭৩]-এর বুকলেট, জয়ললিতা অভিনীত ‘শেহজাদি মুমতাজ’ [১৯৭৭]-এর বেশ কিছু স্থিরচিত্র, ১৯৩৬ সালের মারাঠি ছবি ‘সান্ট তুকারাম’-এর স্থিরচিত্র, অমিতাভ বচ্চনের অপ্রকাশিত চলচ্চিত্র ‘জামানত’ এর পোস্টার এবং প্রথম অহমিয়া ছবি ‘জয়মতী’র [১৯৩৫] কয়েকটা স্থিরচিত্র।”</p> <p>১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এনএফএআই, যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সিনেমার ঐতিহ্য অর্জন এবং সংরক্ষণ করা।</p> <p> </p>