ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

‘টুটুল-সোনিয়ার জন্য শুভ কামনা’

  • অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ ও গায়ক-সুরকার এস আই টুটুলের ২২ বছরের দাম্পত্যের ইতি ঘটে গত বছর ডিসেম্বরে। শোবিজের অনেকেই খবরটা জানলেও তানিয়া-টুটুল মুখ খুলছিলেন না। গতকাল এস আই টুটুলের সঙ্গে শারমিন সিরাজ সোনিয়ার বিয়ের খবর প্রকাশ পায়। একই সঙ্গে সামনে আসে তানিয়া-টুটুলের বিচ্ছেদের খবরও। টুটুল এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।
  • তানিয়া আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
‘টুটুল-সোনিয়ার জন্য শুভ কামনা’
তানিয়া আহমেদ ছবি : মোহসীন আহমেদ কাওছার

টুটুল-সোনিয়ার বিয়ের খবর প্রকাশ পেল...

প্রত্যেকের নিজের একটা জীবন আছে। সে তার মতো করে জীবনটা উপভোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। অন্য কেউ বাধা দেওয়ার কোনো কারণ নেই। টুটুল নতুন জীবন শুরু করেছে, তার বর্তমান স্ত্রী শারমিন সিরাজ সোনিয়াকে আমি আগে থেকেই চিনতাম।

নতুন জীবনে টুটুল-সোনিয়া দুজনের জন্যই শুভ কামনা। ওরা ভালো থাকুক।

 

আপনি কি তাঁদের সম্পর্কের কথা জানতেন?

টুটুল যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে থাকে সেখানকার সবাই আমার পূর্বপরিচিত। বিশেষ করে টুটুল সেখানে দুলাভাই হিসেবে পরিচিত আমার কারণেই।

সেখানে কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে আমি জানতে পারব, এটাই স্বাভাবিক। অনেক আগেই সোনিয়ার সঙ্গে টুটুলের পরিচয়। তবে এবার সেখানে রিয়ালিটি শো ‘বাংলার গায়েন’ করতে গিয়ে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। আগে বেশ কিছু ছবিও হাতে পেয়েছিলাম।
তাদের বিয়ে হয়েছে ৪ জুলাই, সেদিনও আমাকে সেখান থেকে অনেকে ফোন করে। আমি চাইলে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি সবাইকে জানাতে পারতাম। দরকার মনে করিনি। কেন দুজন সুখী মানুষের মাঝখানে কাঁটা হতে যাব?

 

বাবার বিয়ে নিয়ে সন্তানদের অভিমত কী?

বরাবরই আমি বাচ্চাদের আলাদাভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। ওদের সঙ্গে কথা বললেই বুঝতে পারবেন, ওরা আর দশটা ছেলেমেয়ের মতো নয়।

তার পরও ছোট মেয়েটা সামিয়া একটু বেঁকে বসেছিল। কেন বাবা বিয়ে করবে এই প্রশ্নও তুলেছিল। তখন আমি তাকে উদাহরণ দিয়ে বোঝালাম। ছোট মেয়েটা তার ছোট ভাই আরশের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া করে। এটাকেই কাজে লাগালাম। তার কাছে জানতে চাইলাম, তুমি কি তোমার বাবাকে ভালোবাসো? সে এক বাক্যে বলল, ‘অবশ্যই। অনেক ভালোবাসি।’ এরপর জানতে চাইলাম মাকে ভালোবাসো? সে আবারও এক বাক্যে বলে দিল, ‘অ-নে-ক ভালোবাসি।’ তখন বললাম, মা আমি তো তোমাকে আর আরশকে—দুজনকেই ভালোবাসি। তাহলে তোমরা ঝগড়া করো কেন? সে বলল, ‘ভাইয়া তো মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।’ তখন তাকে বললাম, তুমিও তোমার বাবা-মাকে অনেক ভালোবাসো। কিন্তু তোমার বাবা-মায়ের মধ্যেও এমন ঝগড়া হয়, ভুল বোঝাবুঝি হয়। এটাকে কি বয়ে নিয়ে বেড়ানো উচিত? তখন সে আর কথা বলে না। বুঝলাম, কিছুটা হলেও সে মাথায় নিতে পেরেছে। বাকিরা তো ওর চেয়ে বড়, ওরা বুঝে গেছে মা কী বলতে চায়। যার কারণে ওরা তো বুক ফুলিয়েই বলে, ‘আমাদের মা স্ট্রং, গ্রেট আর অনেস্ট’।

আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ঠিক কী নিয়ে?

এটা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি কখনোই সেটা প্রকাশ্যে আনতে চাই না। আমার বিশ্বাস টুটুলও কোনোদিন কাউকে কিছু জানতে দেবে না। এমনিতেই বিচ্ছেদ মানে এখন কাদা ছোড়াছুড়ির একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে নিউজগুলো হচ্ছে সেখানে টুটুলের বিয়ে করা নিয়ে অনেকে বাজে মন্তব্য করছে। তার জায়গায় আমি বিয়ে করলেও হয়তো একই মন্তব্যগুলো দেখতে হতো। এটা না হোক, সেটাই চাই।

 

বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কি টুটুল আপনার সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেছেন?

আমাদের লিখিত বিচ্ছেদ হয়েছে গত বছর। তখন থেকেই তো দুজনের পথ দুই দিকে বেঁকে গেছে। আমার কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ারও কোনো ব্যাপার নেই। মতের মিল না হলে বিচ্ছেদ হতে পারে। আর সেই বিচ্ছেদে দুই পক্ষের মত থাকলে পাশের লোকে কী বলল, তাতে যায় আসে না। আমাদেরও তাই হয়েছে। সমঝোতার মাধ্যমেই বিচ্ছেদ হয়েছে।

 

দেনাপাওনা বা সন্তানদের নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি?

আমি টুটুলের কাছ থেকে কাবিনের একটা টাকাও নিইনি। শুধু বলেছি, সন্তানদের প্রপার রাইটসটা যেন দেয়। সেটা দিলে অবশ্যই আমি খুশি। আর যদি ভবিষ্যতে সেটা না দিতে চায়, তাহলে হয়তো আমাকে আইনের দরজায় কড়া নাড়তে হবে। কারণ নিজের সব বিসর্জন দিতে পারি, সন্তানদের ক্ষেত্রে নয়। আমি খুব সাধারণ নারী, কিন্তু মা হিসেবে কঠোর।

 

টুটুল-সোনিয়া দম্পতি কবে দেশে ফিরবেন এ বিষয়ে কিছু জানেন?

টুটুলকে আমি সম্মান করি এই একটি জায়গায়, সে দারুণ স্মার্ট। আর দশটা মানুষ যেভাবে পথ চলে সে কখনোই সেভাবে চলে না। গতকাল স্বামী-স্ত্রীর ছবি প্রকাশ করার পেছনেও কারণ আছে। এই আলোচনা-সমালোচনা বড়জোর মিডিয়াতে আর দুই-তিন দিন চলবে। তারপর সবাই ভুলে যাবে। যেই সবাই ভুলে যাবে টুটুলও দেশে ফিরবে। তখন তাকে আর কোনো বক্তব্য দেওয়া লাগবে না, কোনো রকম বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না।

যতদূর জানি, এ মাসের শেষের দিকেই ওরা দেশে ফিরবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আরো খবর

শেয়ার
আরো খবর

■ গত বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্যে চলে গেছেন জনপ্রিয় সঞ্চালক ও কমেডিয়ান এলেন ডিজেনেরিস। এই ঘরছাড়ার পেছনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন তিনি। ট্রাম্প দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরদিনই দেশ ছাড়েন অভিনেত্রী। যুক্তরাজ্যের জীবন বেশ উপভোগ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
অন্তর্জাল

বীর দাস—ফুল ভলিউম

শেয়ার
বীর দাস—ফুল ভলিউম
কমেডিয়ান বীর দাস

শুক্রবার নেটফ্লিক্সে এসেছে জনপ্রিয় কমেডিয়ান বীর দাসের নতুন স্ট্যান্ডআপ কমেডি শো। বরাবরের মতোই হাস্যরসের মোড়কে তুলে ধরেছেন ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক। একই সঙ্গে উঠে এসেছে ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়াবলি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া অনুসারে, এমি পুরস্কারজয়ী এ কমেডিয়ান এবারও তাঁর বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে বাজিমাত করেছেন।

 

মন্তব্য
চলচ্চিত্র

এই ঘর এই সংসার

শেয়ার
এই ঘর এই সংসার
‘এই ঘর এই সংসার’ ছবির দৃশ্য

অভিনয়ে সালমান শাহ, বৃষ্টি, রোজী আফসারী, বুলবুল আহমেদ। পরিচালনা মালেক আফসারী। সকাল ১০টা ১৫ মিনিট, এনটিভি।

গল্পসূত্র : ছোটবেলা থেকেই আপা আর দুলাভাইয়ের সঙ্গে থাকে মিন্টু ও চিন্টু।

এই দুই ভাইয়ের প্রতি যেন অবহেলা না হয় সে কারণে কোনো সন্তান নেয় না আপা-দুলাভাই। চিন্টু পড়াশোনা শেষ করে চাকরিতে ঢুকেছে, সাইকাকে বিয়ে করে ঘরে তুলেছে। জুলির মিথ্যে অভিযোগের কারণে মিন্টুকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মিন্টুকে খুবই পছন্দ জুলির বাবার।
কৌশলে মিন্টুর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেয়। সাইকার কারণে সংসারে অশান্তি নেমে আসে।

 

 

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
টিভি হাইলাইটস

বড় ভাই

শেয়ার
বড় ভাই
‘বড় ভাই’ ধারাবাহিকের দৃশ্য

মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় বাংলায় প্রচারিত হচ্ছে জনপ্রিয় তুর্কি ধারাবাহিক  ‘কারদেসলারিম’। বাংলা সংস্করণের নাম ‘বড় ভাই’। চার ভাইবোন—কাদির, ওমর, আসিয়ে এবং এমেলের সংগ্রামময় জীবনের গল্প নিয়ে ধারাবাহিকটি।

 

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ