কানিজ খন্দকার মিতু
‘কোক স্টুডিও বাংলা’র সঙ্গে কিভাবে যুক্ত হলেন?
অনিমেষ রায় দাদার মাধ্যমে কোক স্টুডিও বাংলার সঙ্গে যুক্ত হওয়া। লালন সাঁইয়ের একটি গানের ভিডিও ক্লিপ চাওয়া হয় আমার কাছে। পাঠানোর পর তাঁরা আমার কণ্ঠ পছন্দ করেন। এরপর তিন-চার ধাপে অডিশন দেওয়ার পর তাঁরা আমাকে লালনের গানের জন্য নির্বাচন করেন।
বিজ্ঞাপন
রেকর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
শুরুতে ভয় কাজ করছিল মনে। এত বড় আয়োজনে লাইভ রেকর্ডিং, আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিংই ছিল। ভালো আমাকে করতেই হবে, এই জেদটা ছিল। ভয় কাটাতে অর্ণব (শায়ান চৌধুরী অর্ণব) দাদা খুব চেষ্টা করেছেন। তাঁর সহযোগিতার কারণেই শেষ পর্যন্ত গানটা সুন্দর করে গাইতে পেরেছি।
‘সব লোকে কয়’ প্রকাশের পর কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই বেশ ভালো রিভিউ দিচ্ছেন। যাঁরা আমাকে চিনতেন না তাঁরাও আমার গায়কির প্রশংসা করছেন। রেকর্ডিংয়ের আগে যেমন ভয়ে ছিলাম, প্রকাশের আগেও তেমন ভয়ে ছিলাম। কোক স্টুডিও বাংলার আগের গানগুলো এত ভালো হয়েছে, সেখানে নতুন হিসেবে আমার গান শ্রোতারা কিভাবে নেবেন সেটা নিয়েই ছিল ভয়টা। প্রকাশের পর দেখলাম সব কিছু চিন্তার বিপরীতে হচ্ছে, কোনো নেতিবাচক মন্তব্য পাইনি।
গানের সঙ্গে নিজেকে জড়ালেন কিভাবে?
আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা টাঙ্গাইলের গোবিন্দাসীতে। স্থানীয় ওস্তাদ সেলিম পারভেজের কাছে গানে হাতেখড়ি। পরে আরো অনেক সংগীতজ্ঞের কাছে তালিম নিয়েছি। ২০১১ সালে আয়োজিত এটিএন বাংলায় প্রচারিত সংগীতবিষয়ক রিয়ালিটি শো ‘মেঘে ঢাকা তারা’য় অংশ নিয়ে প্রথম হয়েছিলাম। উচ্চ মাধ্যমিকের পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক বিভাগে স্নাতকোত্তর করছি।
গান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
গান নিয়ে অনেক দূর যাওয়ার ইচ্ছে আমার। লোকসংগীত নিয়ে পড়াশোনা করছি, তাই এ নিয়েই গবেষণা করতে চাই। আমাদের লোকসংগীত অনেক সমৃদ্ধ। কিন্তু ঘুরেফিরে পরিচিত কিছু গানই প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হয়। আমি চাই অপ্রচলিত গানগুলোও তুলে ধরতে। খুব জনপ্রিয় হতে চাই না, ভালো গান করে মানুষের মনে বেঁচে থাকতে চাই।