অকালেই চলে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে। গতকাল ভারতীয় সময় সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে গড়ফা আবাসিক এলাকার নিজস্ব ফ্ল্যাট থেকে অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলেছিল তাঁর মরদেহ, গলায় জড়ানো ছিল বিছানার চাদর। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৫ বছর।
বিজ্ঞাপন
গতকালও শুটিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল পল্লবীর। মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছিলেন সক্রিয়, করেছিলেন একাধিক পোস্ট। পল্লবীর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। শনিবার রাতেও কলকাতার রাস্তায় মোমো খেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই খবর পোস্ট করে জানিয়েছিলেন ভক্তদেরও। এরপর কী এমন হয়ে গেল ‘আত্মহত্যা’ করতে হলো অভিনেত্রীকে? এমন প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর সহশিল্পীরা।
অভিনেতা ভরত কল গণমাধ্যমে জানান, তিন দিন আগে তাঁর মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন পল্লবী। বলেন, ‘আমার মেয়ের ভালো বন্ধু ও। তিন বছর ধরে সুনামের সঙ্গেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে। একের পর এক সিরিয়ালে কাজ করছে, ও কেন আত্মহত্যা করতে যাবে?’
জানা গেছে, বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন পল্লবী। দুজনের বাড়ি কলকাতার বাইরে সাঁতড়াগাছি। তাঁদের দেড় বছরের প্রেমের সম্পর্ক। খুব বেশিদিন হয়নি একসঙ্গে থাকছেন। গত মাসে উঠেছেন এই ফ্ল্যাটে। গণমাধ্যমে পুলিশ জানিয়েছে, দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি চলে শনিবার থেকে। সাগ্নিক সিগারেট কিনতে বাইরে বের হয়েছিলেন। ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকেই পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তিনিই পুলিশে খবর দেন। পল্লবীর পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। কারো বিরুদ্ধে এখনো অভিযোগ করেননি তাঁরা, অপেক্ষা করছেন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের।
‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকে সিরাজের স্ত্রী লুত্ফার চরিত্রে অভিনয় করে দুই বাংলায় জনপ্রিয়তা পান পল্লবী। এর আগে ‘রেশমা ঝাঁপি’ ধারাবাহিকেও তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। অভিনয় করছিলেন ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকের প্রধান নারী চরিত্রেও।