শহীদুজ্জামান সেলিম
নির্বাচন করবেন বলেও সরে দাঁড়ালেন কেন?
আমার কাছে মনে হয়েছে এবার খুবই নোংরা রাজনীতি হচ্ছে। যে সংগঠনের সদস্য ফেরদৌসী মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পীরা, সেই সংগঠনে যাঁরা নির্বাচন করছেন তাঁদের যোগ্য মনে হয়নি আমার। ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’ এমন একটি সংগঠন, যারা বাংলাদেশকে বাইরের দেশে রিপ্রেজেন্ট করে। সেই সংগঠনের নেতৃত্বে যাঁরা আসবেন নিশ্চয় তাঁদের সেই যোগ্যতা থাকবে।
বিজ্ঞাপন
আপনার প্রস্তুতি কেমন ছিল?
বছরের শুরু থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছিলাম। ভোটার লিস্ট জোগাড় করে সিনিয়র-জুনিয়র সব শিল্পীর সঙ্গেই যোগাযোগ করেছিলাম। সবাই আমার ব্যাপারে পজিটিভ ছিলেন। ভেবেছিলাম এবারও গতবারের মতো সুন্দর একটা নির্বাচন হবে। হারি-জিতি যে ফলই হোক মেনে নেব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর হলো না।
এবার যাঁরা নির্বাচন করছেন তাঁদের যোগ্য মনে হলো না কেন আপনার কাছে?
আমি সব প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। কয়েকজন যোগ্য প্রার্থীও আছেন। আমি চাই তাঁরা পাস করুক। শিল্পীদের কল্যাণে এগিয়ে আসুক। তবে বড় বড় পদে যোগ্য প্রার্থী নেই। অভিনয়শিল্পী সংঘের যিনি সভাপতি হবেন তিনি নিশ্চয়ই ব্যক্তিত্ববান, দায়িত্বশীল হবেন। অন্তত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিল্পীদের চাহিদাটা তুলে ধরতে পারবেন। অথচ কী দেখছি? গ্রামের নোংরা রাজনীতি হচ্ছে শিল্পীসংঘের নির্বাচনে।
আপনি এ ব্যাপারে সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি?
আমি অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কেউই এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি। তাঁদের আগ্রহ না থাকাটাই আসলে স্বাভাবিক। একজন ফেরদৌসী মজুমদার কি এই সময়ের ব্যক্তিত্বহীন কারো সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? নূর ভাইয়ের তো প্রশ্নই ওঠে না। তিনি কেন নোংরামির মধ্যে আসবেন!
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। কাউকে কি সমর্থন করবেন না?
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো মানে সব কিছু থেকে সরে দাঁড়ানো। আমি এবারের নির্বাচনের কোনো কিছুর মধ্যে নেই। না প্রচার-প্রচারণা, না কারো সমর্থন—সব কিছু থেকে দূরে থাকতে চাই। তবে হ্যাঁ, দুই-একজনের ক্ষেত্রে দোয়া থাকবে।
তাহলে কি ভোটও দেবেন না?
এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, আমি ভোটই দেব না। দিলে তো সেই অযোগ্য লোককেই দিতে হবে। যাঁর সঙ্গে নির্বাচন করার রুচি হলো না তাঁকে ভোট দেব কেন?