<p><strong>পরিচালক হিসেবে পর পর দুইবার সরকারি অনুদান পেলেন। অভিনন্দন।</strong></p> <p>আমি সৌভাগ্যবান বলতে পারেন। পাশাপাশি জুরিবোর্ডের স্বচ্ছতাকেও শ্রদ্ধা জানাই। তাঁরা ছবি দুটির গল্প ও অন্যান্য দিক বিবেচনা করে তারপর অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিজের দায়িত্ববোধও অনেক বেড়ে গেল। ভালোমতো শেষ করতে পারলে তবেই দায়মুক্তি।</p> <p> </p> <p><strong>গত বছর অনুদান পাওয়া ‘যোদ্ধা’র শুটিং এখনো শুরু করতে পারেননি...</strong></p> <p>‘যোদ্ধা’ অনেক বড় পরিসরের ছবি। কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ভাইয়ের লেখা। গল্পে গণজাগরণ ও মুক্তিযুদ্ধের একটা প্লট আছে। সেটার জন্য নভেম্বর-ডিসেম্বর ছাড়া শুটিং করাটা সম্ভব নয়। গত বছর আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। করোনার কারণে সম্ভব হয়নি। এবার পরিকল্পনা আছে নভেম্বরে শুটিংয়ে নামার।</p> <p> </p> <p><strong>তাহলে ‘গলুই’ করবেন কবে? </strong></p> <p>‘গলুই’য়ের গল্প নদীকেন্দ্রিক। গল্পের বড় একটি অংশ ঘিরে থাকবে নৌকাবাইচ। ফলে বর্ষার মৌসুম ছাড়া শুটিং করা সম্ভব নয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোরবানির ঈদের পরপরই শুটিংয়ে যাব। প্রি-প্রডাকশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। গতকাল নৌকাবাইচ নিয়ে একটি গানের রেকর্ডিং হয়েছে। গেয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ। লিখেছেন শাহ আলম সরকার। সুর ও সংগীত করেছেন ইমন সাহা। এই সপ্তাহে পাত্র-পাত্রীও চূড়ান্ত করব আশা করি।</p> <p> </p> <p><strong>‘যোদ্ধা’ ও ‘গলুই’—দুটি গল্পের প্রেক্ষাপট দুই রকমের। পাশাপাশি সময়ে শুটিং করলে সমস্যা হবে না?</strong></p> <p>একটু চাপ তো নিতেই হবে। কিছু করার নেই। কারণ দুটি ছবিই সরকারকে আগামী বছর বুঝিয়ে দিতে হবে। করোনা না হলে আমি এ বছরেই ‘যোদ্ধা’ নির্মাণ শেষ করতে পারতাম। মস্তিষ্কটাও বিশ্রাম পেত। সেটা তো হলো না!</p> <p> </p> <p><strong>‘গলুই’-এ নৌকাবাইচ রাখবেন? কোথায় পাবেন পেশাদার খেলোয়াড়? </strong></p> <p>গল্পের নায়ক পেশাদার নৌকাবাইচ খেলোয়াড়। তাঁকেসহ অন্তত আরো ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবেন পেশাদার খেলোয়াড়রা। এই লকডাউন শেষ হলেই কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় শুরু করব। এর মধ্যে প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।</p> <p> </p> <p><strong>পর পর দুইবার অনুদান পেলেন, অন্য যাঁরা সরকারি অনুদানের জন্য গল্প জমা দিতে চান তাঁদের কী পরামর্শ দেবেন?</strong></p> <p>আগে সরকারি প্রজ্ঞাপনটা ভালোভাবে পড়তে হবে। সে অনুযায়ী গল্প জমা দিতে হবে। গল্পে থাকতে হবে দেশপ্রেম, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উপদেশ, সর্বোপরি সমাজের জন্য একটা বার্তা। গত বছর ১৬টি ছবিকে অনুদান দেওয়া হয়েছিল, এবার ২০টি। সামনের বছর আরো বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে সুযোগ আরো বাড়বে বলে মনে হয়।</p>