হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের নেপথ্য

&lt;p&gt; এই যুদ্ধে দুপক্ষেরই লক্ষ্য এক : এটি শুরুর আগ থেকে বিদ্যমান পরিস্থিতির পরিসমাপ্তি ঘটানো। একেবারে এবং চিরতরে! গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেটের উৎক্ষেপণ বন্ধ করা, একেবারে এবং চিরতরে! গাজার ওপর ইসরায়েল ও মিসরের চাপিয়ে দেওয়া অবরোধে দাড়ি টানা, একবারে এবং চিরতরে! তবে কেন বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়া দুই পক্ষ এক জায়গায় বসতে পারছে না এবং ইটের বদলে পাটকেল ছোড়ার বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছাতে পারছে না?&lt;/p&gt; &lt;p&gt; তারা পারছে না। কারণ তারা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলে না। তারা একে অপরকে কোতল করতে পারে কিন্তু কথা কইতে পারে না। খোদা নাখাস্তা।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; এটা সন্ত্রাসকে নির্মূলের কোনো যুদ্ধ নয়। এই যুদ্ধ নিজেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পরিপূর্ণ। একে অন্যের জনগণকে সন্ত্রাসমূলক কাজের মাধ্যমে আতঙ্কিত করা ছাড়া দুই পক্ষের কারোরই কোনো কৌশল নেই।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; গাজায় যুদ্ধরত ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলি শহর ও গ্রামগুলোকে লক্ষ্য করে রকেট ছুড়ে তাদের মনোবাসনা প্রকাশের চেষ্টায় রত। তাদের আশা, এর মাধ্যমে ইসরায়েলি জনগণের মনোবলে চিড় ধরানো যাবে এবং গাজার ওপর আরোপিত অবরোধের সমাপ্তি ঘটনা যাবে; যে অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকা পরিণত হয়ে আছে &#039;আসমান খোলা কারাগারে&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; ইসরায়েলি সেনারা গাজা উপত্যকার জনগণের ওপর বোমা ফেলছে এবং জনবসতি ধ্বংস করছে। তারা আশা করছে, এর ফলে গাজাবাসী (যারা বেঁচে থাকবে) হামাস নেতৃত্বকে ছুড়ে ফেলবে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; উভয় পক্ষের এই আশাবাদ নিশ্চিতভাবেই মূঢ়তা ছাড়া আর কিছু নয়। ইতিহাস সময়ে সময়ে এবং বারবার দেখিয়েছে যে কোনো জনগোষ্ঠীকে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আতঙ্কগ্রস্ত করার পরিণাম হয়েছে উল্টো। তারা নিজেদের নেতৃত্বের আড়ালে একজোট হয়েছে এবং শত্রুর প্রতি আরো জোরালো বিদ্বেষ উগরে দিয়েছে। এখন এটাই ঘটছে দুই দিকে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে সুদক্ষ সামরিক সম্ভারের একটির মালিক ইসরায়েল। হামাস ও তাদের স্থানীয় মিত্র গোষ্ঠীগুলোর কয়েক হাজার যোদ্ধাই সম্বল, অবশ্য ততটা যদি সতিই থেকে থাকে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;a name=\&quot;RIMG0\&quot;&gt;&lt;/a&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt; ডেভিড ও গোলিয়াথের পৌরাণিক গল্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য অনেকে আবিষ্কার করতে পারেন। তবে এ সময় আমরা গোলিয়াথ এবং তারা ডেভিড।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; গল্পটি সাধারণত ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। সত্যিটা হলো, গোলিয়াথ ছিল দানবাকৃতির একজন মেষপালক আর ডেভিড ছিল ক্ষুদ্রাকৃতির একজন। গোলিয়াথের ছিল সেকেলে অস্ত্রসম্ভার- ভারী সামরিক যান, তরবারি ও বর্ম। এসব অস্ত্রশস্ত্র নড়ানো-চড়ানোই ছিল কঠিন। অন্যদিকে ডেভিডের ছিল নতুন ধরনের আশ্চর্যজনক অস্ত্র- পাথর ছুড়ে দেওয়ার মতো গুলতি। এর সাহায্যে সে দূর থেকেই প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে পারত।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; হামাস তাদের রকেটের সাহায্যে একই লক্ষ্য পূরণের আশা করছে, যা রীতিমতো বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের কার্যকর সুড়ঙ্গ দিয়েও তারা ইসরায়েলের নাগাল পাচ্ছে। যাই হোক, এ যাত্রায় অবশ্য গোলিয়াথও খুবই উদ্ভাবনকুশল এবং আয়রন ডোম বাস্তবিকই সব রকেটকে আকাশেই নিষ্ক্রিয় করতে পারছে। এসব রকেটের কারণে তেলআবিবসহ বিভিন্ন জনপদের মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; এতক্ষণে আমরা জেনে গেছি, কোনো পক্ষই অন্য পক্ষকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে অপারগ। এটা সমান সমান লড়াই, ড্র। তাহলে কেন আমরা হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পথে চলছি?&lt;/p&gt; &lt;p&gt; আহ্, এখানে রয়েছে সেই প্রতিবন্ধকতা। আমরা একে অন্যের সঙ্গে বাতচিৎ করি না। এখানে আমাদের দরকার মধ্যস্থতাকারীর।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; সম্প্র্রতি হারেৎজ পত্রিকায় ছাপা হওয়া একটি কার্টুনে দেখা গেল, ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধ করছে এবং তাদের ঘিরে একদল মধ্যস্থতাকারী বৃত্তাকারে নাচানাচি করছে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; তারা সবাই মধ্যস্থতা চায়। তারা একে অন্যরে সঙ্গে লড়াই করছে। কারণ তাদের প্রত্যেকেই চায় মধ্যস্থতা করতে, যদি সম্ভব হয় তা এককভাবে। মিসর, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, তুরস্ক, মাহমুদ আব্বাস, টনি ব্লেয়ার এবং আরো অনেকে। মধ্যস্থতাকারীর সংখ্যা অগণন। প্রত্যেকে চায় যুদ্ধের দুর্দশা থেকে কিছু হাসিল করতে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; এটা খুবই দুঃখের কথা। তাদের অধিকাংশই সদয়, কেউ কেউ পুরোদস্তুর বিরক্তিকর।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; মিসরের কথা ধরা যাক, হাতে রক্তের দাগওয়ালা সামরিক শাসকের দ্বারা শাসিত। তিনি (মিসরের শাসক) ইসরায়েলের সার্বক্ষণিক মধ্যস্থতাকারী, তাঁর আগে হোসনি মুবারক যেমনটা ছিলেন (সবচেয়ে বেশি দক্ষ ছিলেন তিনি)। যখন থেকে ইসরায়েল গাজার সমুদ্রসীমা ও সব অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, মিসরের সীমান্তই গাজার জন্য বিশ্বের একমাত্র নির্গমপথ।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; কিন্তু ইসরায়েল নিজে যতটা না গাজা ভূখণ্ডের পতন ঘটিয়ে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়, আরব জাহানের সাবেক নেতা ও ইসরায়েলের এখনকার সাব-কন্ট্রাক্টটর মিসর তার চেয়ে বেশি তা করতে আগ্রহী। মিসরীয় টেলিভিশনের &#039;সাংবাদিকরা&#039; ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে অশিষ্ট পরিচয়ে দাগিয়ে দেন। এবং তারা তাদের নতুন ফারাওয়ের সামনে বশংবদ হিসেবে নিজেদের উপস্থাপিত করেন। কিন্তু মিসর এখন সংঘাতবিরতির একক দালাল হওয়ার ওপর জোর দিচ্ছে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; জাতিসংঘের মহাসচিব চারদিকে দৌড়ঝাঁপ করছেন। তাঁর পদের জন্য তাঁকে পছন্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ তিনি চাতুরি ধরতে পারেন না। তাঁকে এখন সকরুণ দেখাচ্ছে। (চলবে)&lt;/p&gt; &lt;p&gt; ইংরেজি থেকে অনুবাদ&lt;/p&gt; &lt;p&gt; শ্রাবণ সরকার&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt;

অনুবাদ

হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের নেপথ্য

ইউরি অ্যাভনেরি

ইসরায়েলি লেখক ও মানবাধিকারকর্মী

ইসরায়েলি লেখক ও মানবাধিকারকর্মী

প্রাসঙ্গিক

সম্পর্কিত খবর

অনুবাদে আগ্রহ, মান নিয়ে প্রশ্ন

বাংলা শিল্প-সাহিত্য অনুবাদ করে সারা বিশ্বে ছড়াতে হবে

নেদারল্যান্ডসে কোরআনের ডাচ অনুবাদ উপহার

নেদারল্যান্ডসের মসজিদে কোরআনের অনুবাদ কপি বিতরণ

সর্বশেষ সংবাদ

মিয়ানমারের নৌ জাহাজে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটি

জাতীয়করণে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষক কাওছার আলী বরখাস্ত

বিক্ষোভ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

রাজশাহীর পদ্মায় ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু

দূর দেশে এক হলেন তিন বন্ধু

হিট স্ট্রোক রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা

হাতীবান্ধায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়

ইরানের পরমাণু কার্যক্রম ‘ভ্রু কুঁচকে দিচ্ছে’

সোনার দাম ভরিতে কমল ৩১৩৮ টাকা

আইপিএল আর বিশ্বকাপে উইকেটের পার্থক্য বোঝালেন ওয়ার্নার

মহাসড়কের পাশে পড়েছিল হাতির মরদেহ, উদ্ধারে বন বিভাগ

লালপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

ছবি তুলতে গিয়ে পড়ে গেলেন আগ্নেয়গিরিতে, চীনা পর্যটকের মৃত্যু

বিলুপ্ত পেশা সিঁধেল চোর

কুমিল্লা সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে বিএসএফের গুলি

কোন রুটে কত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

রাজধানীর গুলিস্তানে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রাপক আমার মা

প্রচণ্ড গরমে শিশুরা বেশি কাবু ৫ রোগে

‘আপনি কেমন আছেন’, পদ্মশ্রীজয়ী বন্যাকে মোদির প্রশ্ন

তালায় আগুনে পুড়ল ১৩ ঘর

জলের খেলা জল-কুমির

দুই শতাধিক আফটারশকে কাঁপাল তাইওয়ান

শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

বান্দরবানের তিন উপজেলার ভোট স্থগিত : ইসি সচিব

সার্টিফিকেট বাণিজ্য : ডিবি কার্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান

মেধাসম্পদ সুরক্ষা সম্মাননা-২০২৩ পেলেন চার ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান

ছোট্ট উদ্যোগে বড় প্রশান্তি

সর্বাধিক পঠিত

রেলস্টেশনে বসেছে স্বয়ংক্রিয় মেশিন, যাত্রীরাই কাটবে নিজের টিকিট

পশ্চিমাদের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষের হুঁশিয়ারি দিয়ে যা বলল রাশিয়া

বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক, তিন সদস্যের কমিটি গঠন

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির পরিবর্তন দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র

খুন করে উল্লাস খুনিদের, লাশ আনার জন্য পরিবারকে বার্তা

পুলিশের অনুমতি পায়নি আওয়ামী লীগ, ২৬ এপ্রিলের সমাবেশ স্থগিত

কেন অস্ট্রেলিয়ায় বাশার তটিনি?

ট্রেন ভাড়ার ছাড় প্রত্যাহার, ৪ মে থেকে বাড়বে ভাড়া

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি, আজ ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদ

কায়সার কামাল আত্মস্বীকৃত অপরাধী : ব্যারিস্টার খোকন

অতিরিক্ত সচিব পদে ১২৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি

মায়ের কবরের পাশে দাফন হলো রুমির

মেহজাবীন ও সিয়ামের এমন পোস্টের কারণ কী?

দাদাগিরি ও দিদি নম্বর ওয়ানের স্টুডিওতে আগুন

গত বছর সামরিক খাতে সর্বোচ্চ ব্যয়, শীর্ষে যেসব দেশ

অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিদান

মোদির ভাষণে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

ব্যক্তিগত বিষয়গুলো টেনে আনা লজ্জাজনক : অপু বিশ্বাস

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, ৪ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্কতা

ফেরদৌস কে রান্না করে খাওয়ালেন মৌসুমী

বাড়ি লিখে না দেওয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে বাবাকে নির্যাতন

জনপ্রিয় টিকটকার ইভা ইভানসের মৃত্যু

ইসলামের মর্যাদাপূর্ণ চার মসজিদ

ক্যানেলের মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো রাইফেল, মাইন ও গ্রেনেড

চট্টগ্রামে আজ প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের ঘোষণা চিকিৎসকদের

প্রথম ধাপে মনোনয়ন প্রত্যাহার ৯৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীর

বিদেশি ঋণে সুদ বাড়ল তিন গুণ

দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন