<p>ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরটিতে সারা বছরই বেশ কর্মযজ্ঞ চলে। এখন আবার ভারতীয় পণ্য এ বন্দর থেকে নামিয়ে সড়কপথে ওপারে পাঠানো হয় বলে ব্যস্ততা আরো বেড়েছে। তবে সে তুলনায় এখানে অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন হয়নি। ২০১১ সালে বন্দরটিকে অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হলেও সেটা বাস্তবে রূপ নেয়নি। </p> <p>দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম নৌবন্দর হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ। মেঘনা নদীর তীরে এর অবস্থান। অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় একটি জরাজীর্ণ জেটিতেই চলছে পণ্য খালাসের কার্যক্রম। এতে বন্দরে প্রায়ই কার্গোজট দেখা দেয়।</p> <p>সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্দরটির উন্নয়নে ২০১০ সালে ২৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ভারতের নমনীয় ঋণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তায় না পাওয়ায় বন্দরটির উন্নয়ন কার্যক্রম আর হয়নি। এরই মধ্যে ২০১১ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের ভারী মালামাল এ বন্দর থেকে সড়কপথে আখাউড়া দিয়ে পরিবহন করা হয়। খাদ্য ও স্টিল জাতীয় পণ্য এ পথেই ভারতে নেওয়া হয়।</p> <p>নৌবন্দরের ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন জানান, বন্দরে নানা ধরনের সমস্যা বিরাজমান, বিশেষ করে চাহিদা অনুযায়ী ঘাট না থাকায় পণ্য ওঠানো-নামানোয় সমস্যায় পড়তে হয়। এখানে আন্তর্জাতিক মানের টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে বাণিজ্যের আরো প্রসার ঘটবে।</p> <p>আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অরবিন্দ বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, চার লেন সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি যদি বন্দরের উন্নয়ন হয়, তাহলে আশুগঞ্জ উপজেলা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে চলে যাবে। এরই মধ্যে নৌবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।</p> <p>বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) ভৈরব-আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উপপরিচালক মো. রেজাউল করিম জানান, নৌবন্দরের উন্নয়নে জমি অধিগ্রহণের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে এ বন্দরে মোংলা-পায়রা এবং চট্টগ্রাম নৌবন্দর থেকে আসা অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ওঠানামা করবে।</p>