গতকাল চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
দেশের মানুষের আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চায়ের চাহিদা ও উৎপাদন বাড়ছে। এ জন্য আগে যে এক কাপ চা খেত, সে এখন দুই কাপ চা খায়। এর ফলে এখন দেশে দিনে ১০ কোটি কাপ চা খাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। দেশের চায়ের মান উন্নত হওয়ার কারণে বিশ্ববাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গতকাল শনিবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ চা বোর্ড এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে দেশে চা উৎপাদন হতো ৬০ মিলিয়ন কেজি, ২০২১ সালে বেড়ে উৎপাদন হয়েছে ৯৬.৫১ মিলিয়ন কেজি। তার পরও তেমন রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব না হলে বিদেশ থেকে চা আমদানি করে আমাদের দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে হতো। ’ ক্ষুদ্র চা-বাগানগুলোকে সহায়তা দিতে হবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘সার্বিকভাবে আমাদের সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে। এক লাখ ৪০ হাজারের বেশি শ্রমিক আছে, তাদের সন্তানদের ট্রেনিং দিয়ে দেশের বাইরে পাঠানোর বিষয়টি দেখতে হবে। আমাদের কিছু চা-পাতা আছে, যেগুলো ইংল্যান্ডের বাজারে পাওয়া যায়। এ ছাড়া চায়ের উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। প্রতিবছর ৪-৫ শতাংশ চা উৎপাদন বাড়ছে। তবে মানুষের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম, এ জন্য রপ্তানি করতে পারছি না। গ্রামের মানুষ এখন সকালে উঠেই দোকানে গিয়ে চা পান করে। এতে বোঝা যায়, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। ’
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমাদের চা-শিল্পের উন্নয়নে ৯০ শতাংশ অবদান শ্রমিকদের। আমরা শ্রমিকদের আরো ট্রেনিং দিয়ে তাদের দেশের বাইরে পাঠাতে উদ্যোগ নিতে চাই। এতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। ’
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মধ্যম ও উন্নত মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত হব সবার অবদানে। চা-শিল্প আমাদের লক্ষ্যকে আরো এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে। ’