<p>বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ক্রমেই ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতচিহ্ন দেখা যাচ্ছে গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামোতে। খাগড়াছড়ি পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ফুটবিল সংযোগ সড়কটি একেবারে ভেঙে পড়েছে। আর তাই শত শত মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে খোদ গ্রামবাসী। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ স্বেচ্ছায় সড়ক মেরামতের কাজ করেন। তাঁরা ইট ও বালু দিয়ে সড়কটি মেরামত করেন। পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়কে এখন হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।</p> <p>এই সড়কটি দিয়ে ফুটবিল ছাড়াও গাবপাড়া, আক্য ডাক্তারপাড়া ও গরগজ্জাছড়ি গ্রামের শত শত মানুষ চলাচল করে। সড়কটি স্থায়ীভাবে সংস্কারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।</p> <p>এদিকে ফেনীর পরশুরামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছে গ্রামবাসী। উপজেলার পরশুরাম-পশ্চিম সাহেব নগর সড়কের পাঁচ কিলোমিটার সড়ক তারা সংস্কার করে। এতে উপজেলা সদরের সঙ্গে মির্জানগর ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। গত মঙ্গলবার পশ্চিম সাহেবনগর, মনিপুরসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের দুই শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা একত্র হয়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক স্থান স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করে।</p> <p>পরশুরাম থেকে পশ্চিম সাহেবনগরসহ ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এই সড়ক। এ ছাড়া মির্জানগর ইউনিয়নের সুবার বাজার এলাকায় যাতায়াতের বিকল্প সড়ক হিসেবে এই সড়কটি ব্যবহার করা হয়।</p> <p>পরশুরাম এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী এস এম শাহ আলম ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেছেন এবং গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙা রাস্তা মেরামতে সহায়তা করেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী সপ্তাহের মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সব সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।</p> <p>উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহফুজুর রহমান স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রাস্তা মেরামতের খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান এবং এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বালু দিয়ে সড়ক সম্পূর্ণ চলাচল উপযোগী করে তোলা হবে।</p> <p> </p>