<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">সন্ধ্যা ৭টা বেজে ৮ মিনিট। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার তিতাস সেতুর কাছে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দেয়। প্রায় এক মিনিট পর ট্রেনটি আবার ছেড়ে গিয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে নির্ধারিত যাত্রারিবতি দেয়। গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা এটি।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী গত শুক্রবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ওই একই স্থানে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দেয়। ওই ট্রেনটিও একইভাবে প্রায় এক মিনিট থেমে থেকে চলতে শুরু করে। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি দেয়। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (লোকোমাস্টার) জানান, লাল বাতির সংকেত থাকায় ট্রেনটি থামাতে হয়। কিছুক্ষণ পর সবুজ সংকেত পেয়ে আবার ট্রেন চালানো হয়। তবে ওই চালক এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি এবং চালক তাঁর নামও বলেননি এ প্রতিবেদককে। মহানগর প্রভাতী ট্রেনে দায়িত্বরত একজন জানালেন, প্রতিদিনই ওই স্থানে ট্রেনটি থামে। মিনিটখানেক পর আবার ছেড়ে আসে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">জানা যায়, মূলত আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সংকেত পদ্ধতির আধুনিকায়নের ফলে এ ধরনের </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">গ্যাঁড়াকলে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt"> পড়তে হচ্ছে ট্রেনগুলোকে। ১২ মে আধুনিক সংকেত পদ্ধতির উদ্বোধন হয়। এর পর থেকে ঢাকা ও সিলেট থেকে আখাউড়ায় প্রবেশমুখে ট্রেনগুলোতে থেমে আসতে হচ্ছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো আখাউড়া প্রবেশেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একটু আগেভাগে একটি লেভেলক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার ফেলতে হচ্ছে। অবশ্য বিরতিহীন ট্রেনগুলোর বেলায় এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। তবে ওই ট্রেনগুলো চালাতে গিয়ে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত লেভেলক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার ফেলে রাখতে হচ্ছে। এতে করে সড়কে অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন আটকে থাকছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হোম সংকেত (স্টেশনে প্রবেশ) থেকে আউটার সংকেত (স্টেশন থেকে বাহির) পর্যন্ত একটি রেলওয়ের স্টেশনের </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">সীমানা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt"> ধরা হয়। আধুনিক পদ্ধতির নতুন সংকেত পদ্ধতিতে লেভেলক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার না পড়লে ট্রেন চলার সবুজ বাতি দেওয়া যায় না। আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের যে সীমানা, সেখানে একটি লেভেলক্রসিং রয়েছে। লেভেলক্রসিংটি বড়বাজার এলাকায় অবস্থিত। মোট ১৮টি রেললাইন রয়েছে ওই লেভেলক্রসিংয়ে, যেখাতে দিন-রাত মিলিয়ে ৩০-৪০ বার ব্যারিয়ার ফেলতে হয়।  </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">সূত্রটি আরো জানায়, আখাউড়ায় যাত্রাবিরতি আছে এমন ট্রেনগুলোকে প্রবেশ করানোর জন্য প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের পাঘাচং রেলওয়ে স্টেশন ক্রসিংয়ের পর সবুজ সংকেত দিতে হয়। কিন্তু যাত্রারিবতি দেওয়া ট্রেনগুলোর জন্য এত আগে সবুজ বাতি দিতে গেলে বড়বাজারের লেভেলক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার ফেলে দিতে হবে। এ অবস্থায় ট্রেনটি প্রবেশ, যাত্রাবিরতি দিয়ে ছেড়ে যাওয়াসহ ২০ মিনিটের মতো সময় লেগে যাবে। ফলে লেভেলক্রসিংয়ে যানজটের শঙ্কা থাকে। এ অবস্থায় ট্রেনগুলোকে সবুজ সংকেত না দিয়ে আখাউড়ায় প্রবেশ করানো হয়। ঢাকা থেকে আসা ট্রেনগুলো আখাউড়া রেলওয়ে তিতাস সেতু ও সিলেট থেকে আসা ট্রেনগুলো রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দেয়। আধুনিক পদ্ধতিতে ট্রেনগুলো লাল সংকেত বাতির সামনে থামার ৩০ সেকেন্ড পর স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে (অটোমেটিক) সবুজ সংকেত হয়ে যায়। সবুজ বাতি হওয়ার পর ট্রেনটি আবার আখাউড়া স্টেশনে এসে যাত্রাবিরতি দেয়।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">কেবিন মাস্টারের দায়িত্বে থাকা মোইনুল ইসলাম জানান, মূলত আগেভাগে যেন ব্যারিয়ার না ফেলতে হয় সে জন্যই এ পদ্ধতিতে ট্রেন চালানোর জন্য কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশনা রয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">কথা হলে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (সংকেত) রেজাউল আহমেদ মজুমদার শুক্রবার বিকেলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে শিগগিরই এর সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।</span></span></span></span></span></span></span></span></p>