<p>কুলাউড়ায় চলতি অর্থবছরে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন মোট ১১ হাজার ৯২২ জন। কিন্তু এর বিপরীতে বরাদ্দ এসেছে মাত্র ২৪৪ জনের। এতে সরকারের সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেলেন ১১ হাজার ৬৭৮ জন। কুলাউড়া উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে অনলাইনে বয়স্ক ভাতার আবেদন জমা হয়েছে চার হাজার ৪৯২টি। বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ এসেছে মাত্র ১৪০টি বয়স্ক ভাতার কার্ডের। আর বিধবা ভাতার আবেদন জমা হয়েছে সাত হাজার ৪৩০টি। বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ এসেছে মাত্র ১০৪টি বিধবা ভাতার কার্ডের।</p> <p>হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্স বলেন, ‘বয়স্ক ভাতার কার্ডের বরাদ্দ নিয়ে আমরা খুবই হতাশ। কারণ সরকারিভাবে ঘোষণার পর অনলাইনে ইউনিয়ন থেকে ৫০০টি আবেদনের বিপরীতে বরাদ্দ এসেছে ১০টি। আর বিধবা ভাতার ৬৬০টি আবেদনের বিপরীতে বরাদ্দ এসেছে আটটি। বঞ্চিত জনগণ এখন কৈফিয়ত চাচ্ছেন, তাঁরা অনলাইনে আবেদন করার পরও কেন ভাতা পেলেন না।’</p> <p>টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক বলেন, ‘ভাতা থেকে বঞ্চিত লোকদের সমালোচনার চাপে আমরা জনপ্রতিনিধিরা অনেক বেকায়দায় আছি। তাঁদের এখনো ভাতা আসেনি বলে আশ্বাস দিয়ে রাখছি।’ কুলাউড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান বলেন, ‘এ বছর বয়স্ক ও বিধবা ভাতা মিলে মাত্র ১৫টি বরাদ্দ পেয়েছি। এত কম বরাদ্দ আসায় সাধারণ জনগণ আমাদের ভুল বুঝছেন।’ কুলাউড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রাণেশ চন্দ্র বর্মা বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে সারা দেশে এক লাখ বয়স্ক ভাতা ও প্রায় এক লাখ বিধবা ভাতার কার্ডের বরাদ্দ ছিল। যেহেতু অনলাইনে উপকারভোগীরা ভাতার জন্য আবেদন করেছেন সেহেতু সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁরাও একসময় ভাতার আওতায় আসতে পারে।’</p>