<p>বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বল গ্রামে অনেকের বসতঘর আছে, কিন্তু অতিরিক্ত জায়গা নেই। তাই স্থানীয় বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে ৫০ বছর আগেই তাঁদের পূর্বপুরুষরা ‘মানিক পাহাড়’ কবরস্থান গড়ে তুলেছেন। অথচ ওই কবরস্থান দখল করে বনখেকোর দল রাতারাতি বসতঘর নির্মাণ করেছে। কবরস্থান দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করায় ক্ষুব্ধ জনতা গতকাল বৃহস্পতিবার গণস্বাক্ষরসহ বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তারের কাছে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছে। ইউএনও অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন বন বিভাগের জলদী রেঞ্জের রেঞ্জার আনিচ্ছুজ্জামান শেখকে। এদিকে এ ঘটনা কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রহমত উল্লাহকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুমকি দেন কবরস্থান দখল করা এক নারী। এরপর ওই ইউপি সদস্য বাঁশখালী থানায় জিডি করেছেন।</p> <p>স্থানীয় বাসিন্দা ছোবাহান আলী, জালাল উদ্দীনসহ অনেকে জানান, বাপ-দাদার কবরস্থান রাতারাতি দখল হবে কিছুতেই ভাবতে পারিনি। বন বিভাগের জায়গায় কবরস্থান করেছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। অথচ এই বন বিভাগের জায়গা দখল করে প্রভাবশালীরা রাতারাতি ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ফেলেছে। এ ছাড়া আমরা মারা গেলে আমাদের কোথায় কবর দেবে, তা নিয়ে সন্তানরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।</p> <p>স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রহমত উল্লাহ বলেন, ‘এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর পর কবরস্থান দখলকারী কামরুন নাহার নামের এক নারী আমার মোবাইলে ফোনে কল করে বলেন, আমার ছয়টি ছেলেমেয়ে আছে। একজনকে গলা কেটে হত্যা করে তোমাকে মামলায় জড়াব। বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না।’ এরপর আমি থানায় জিডি করেছি। ওই সব ব্যাপারে আমি মাথা ঘামাচ্ছি না। ওটা বন বিভাগের ব্যাপার।’</p> <p>বন বিভাগের জলদী রেঞ্জের রেঞ্জার কর্মকর্তা আনিচ্ছুজ্জামান শেখ বলেন, ‘ইউএনওর কাছে দেওয়া এলাকাবাসীর অভিযোগের তদন্তভার পেয়েছি। তদন্ত চলছে। গ্রামবাসীর সঙ্গে বৈঠক করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।’</p>