<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকনবাড়ি লোহার সেতুটি বেহাল। সেতুর ভাঙা অংশ কাঠের পাটাতন দিয়ে জোড়া লাগানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মধ্যভাগ দেবে যাওয়ায় যেকোনো সময় সেতুটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। অ্যাম্বুল্যান্স কিংবা জরুরি প্রয়োজনে পণ্যবাহী কোনো যান চলাচল করতে পারছে না ওই সেতু দিয়ে। সেতুতে এসংক্রান্ত একটি সতর্কতা সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">জানা গেছে, উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের ভোলানাথপুর বাজারসংলগ্ন লক্ষ্মীপুরা গ্রামের বেড়েরধন নদীর ওপর হালকা যান চলাচলের জন্য আকনবাড়ি লোহার সেতুটি ২০০৭-০৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে। কিন্তু নির্মাণের পর প্রতিদিন সহস্রাধিক মোটরবাইক, মাহিন্দ্রা, প্রাইভেট কারসহ পণ্যবাহী ভারী যান চলাচল শুরু করে। ফলে সেতুটি দিন দিন ব্যবহার অনুপযোগী হতে থাকে। পরে ২০১৮ সালে সেতুর মধ্যভাগের লোহার অ্যাঙ্গেল ও সিমেন্টের স্লাব ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। দুই সপ্তাহ পর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সেতুর মধ্যভাগের ভাঙা অংশে কাঠের পাটাতন দিয়ে মেরামত করা হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত সেতুটি পুনর্নির্মাণ কিংবা সংস্কার করা হয়নি। ফলে সেতুর মধ্যভাগের লোহার কাঠামোর মেইন পোস্ট হেলে গিয়ে টপ স্লাব দেবে গেছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">সেতুসংলগ্ন বাসিন্দা মো. আব্দুল হামিদ সিকদার জানান, সেতুর মধ্যভাগ ভেঙে পড়ার পর পুনঃসংস্কার করা হয়নি।</span></span></span> <span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">কাঠের পাটাতন দিয়ে হালকা রিকশা ও অটোরিকশা যেতে পারে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span lang="EN-US" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">উপজেলা প্রকৌশলী রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘এ সেতু পুনর্নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এরই মধ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী করা হবে।’</span></span></span></span></span></span></span></span></p>