<p>কুলাউড়ার শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক আইয়ুব আলীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিমিয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।</p> <p>জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রধান শিক্ষক পদে মোট সাতজন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে আইয়ুব আলীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আছকর আলী।</p> <p>লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া আইয়ুব আলী মৌলভীবাজার কাশীনাথ আলাউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকা অবস্থায় যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়। তখন তাঁকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়।</p> <p>অভিযোগকারী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আছকর আলী বলেন, ‘যাঁকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় বরখাস্ত হয়েছিলেন। তাঁর অতীত ইতিহাস জেনে তাঁকে আমাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে পারছি না।’</p> <p>নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক আইয়ুব আলী বলেন, ‘কাশীনাথ আলাউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ওই সময় আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেটা আমি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করে অব্যাহতিপত্র জমা দিই। এখন নতুন করে আমি শ্রীপুর স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথম স্থান অর্জন করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি।’</p> <p>বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম খান বাচ্চু বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষা নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্বচ্ছ হয়েছে। এখানে আর্থিক লেনদেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন।’</p> <p>উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার বলেন, ‘পরীক্ষায় যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি নাম্বার পেয়েছেন, তাঁকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’</p> <p>উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।</p>