গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের গাছাবাড়ী গ্রামের ডেলিভারি সেন্টারে সিজারিয়ানের মাধ্যমে যমজ পুত্রসন্তান প্রসবের সময় মুন্নি খাতুন (৩০) নামের এক মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পৃথক ঘটনায় নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফয়সাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রসূতি আকলিমা বেগমের (৩২) মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কচুয়া ইউপির সাবেক মহিলা সদস্য আজমিন সুলতানা রীনা তাঁর বাড়িতে অবস্থিত ডেলিভারি সেন্টারে মুন্নি খাতুনের সন্তান প্রসবের চেষ্টা করেন। পরে স্বাভাবিক প্রসবে ব্যর্থ হলে সিজারিয়ানের মাধ্যমে যমজ শিশু ভূমিষ্ঠ হয়।
বিজ্ঞাপন
সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি তিনি শুনেছেন। অভিযোগ পেলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। ’
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ‘এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
পৃথক ঘটনায় নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফয়সাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল অপারেশনের অভিযোগে প্রসূতি আকলিমা বেগমের (৩২) মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকারের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে নওগাঁর সিভিল সার্জন আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার বলেন, ‘এ ঘটনায় নওগাঁ সদর হাসপাতালের একজন গাইনি কনসালটেশনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ’
গত শনিবার (২৫ জুন) বিকেলে ওই ক্লিনিকে আকলিমা বেগমের সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের পর ক্রমে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।