ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৫৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), যা ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় এক কোটি ৪৪ লাখ টাকা বেশি। গত মঙ্গলবার কোষাধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের কাছে বাজেট হস্তান্তর করেন।
বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতায়। এ খাতের মোট বরাদ্দ ১০৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৯ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি, গবেষণা খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের স্নাতকোত্তর গবেষণারত ছাত্র রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গবেষণার জন্য যে অর্থ দেওয়া হয়, তা দিয়ে গবেষণা শুরু করাই সম্ভব হয় না। এক যুগ আগে গবেষণায় যে অর্থ দেওয়া হতো, এখনো তা-ই দেওয়া হয়। এটি গবেষণায় সাহায্যের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের মাঝপথে ভোগান্তিতে ফেলে। ’
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরির পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, ‘বছরে যে অর্থ দেওয়া হয়, তা দিয়ে এক মাসও গবেষণা চালানো যায় না। জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণায় যে কেমিক্যাল প্রয়োজন হয়, তা খুবই ব্যয়বহুল। ফলে অনেকে গবেষণায় আগ্রহ দেখান না। কম বরাদ্দ ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের গবেষণা না হয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্র্যাকটিক্যালের মতো হচ্ছে। ভালো গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। ’
কোষাধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘গবেষণা বরাদ্দ আগের তুলনায় বেড়েছে। আমরা আরো বেশি বরাদ্দ চেয়েছিলাম। ইউজিসি থেকে এই পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। ’