পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর বালিপাড়ায় আশ্রয়ণের ঘরে এসি ও আকাশ ডিটিএইচ লাগিয়েছেন ইকবাল সেপাই। (ডানে) ইউনিয়ন ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক ইকবালের ব্যানার। ছবি : কালের কণ্ঠ
আশ্রয়ণের ঘরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি)। আছে টেলিভিশন চ্যানেল দেখার যন্ত্র আকাশ ডিটিএইচ। পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের এই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছে, প্রকৃত দরিদ্র হলে ঘরে এসি লাগান কিভাবে?
স্থানীয় লোকজন জানায়, ইন্দুরকানী উপজেলায় হাতে গোনা কিছু সরকারি অফিস, মসজিদ এবং বাসাবাড়িতে এসি ব্যবহৃত হয়।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য এ উপজেলায় ৫৪৪টি গৃহনির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর মধ্যে কিছু ঘর নির্মাণাধীন। বাকিগুলো নির্মাণ শেষ হওয়ায় তালিকাভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর মধ্যে এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ উপজেলায় জাতীয় পার্টির (জেপি) সুপারিশে বেশ কিছু ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। যার বেশির ভাগ জেপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মো. ইকবাল সেপাই বলেন, ‘সরকারিভাবে আমি এই ঘর পেয়েছি। আমি গরম সহ্য করতে পারি না। তাই ঘরে এসি লাগিয়েছি। এতে দোষের কী হলো?’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গৃহহীনদের তালিকায় বালিপাড়া গ্রামের ইকবাল সেপাইর নামে একটি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি ঘরে এসি লাগিয়েছেন বলে লোকমুখে শুনেছি। ’
ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুত্ফুন্নেসা খানম বলেন, ‘যারা দরিদ্র ও অসহায় এমন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে সরকারি খরচে গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। কোনো সচ্ছল ব্যক্তিরা এ ঘর পাওয়ার কথা নয়। তার পরও এ ধরনের অভিযোগের সূত্র ধরে খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে। ’