রাজশাহীতে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে আসামিপক্ষ তুলে নিয়ে গিয়ে আদালতে তাদের পক্ষে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার সকালে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করা হয়েছে। সেখানে ওই কিশোরীর মা ও ভাই উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা সাধুজন মেরী ভিয়ান্নি মিশনের গির্জায় তিন দিন আটকে রেখে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।
বিজ্ঞাপন
এই মামলার আগেই ফাদার প্রদীপ গ্রেগরী আত্মগোপন করেন। একপর্যায়ে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে তিনি জামিন পান। ওই কিশোরী এখন নবম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসামিপক্ষে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে, রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, তাঁর ছেলে হিমেল শেখসহ পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এতে হিমেল শেখের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শেখ ওয়াহিদুজ্জামান ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে বাদীর দাবি, তাঁর ভাগ্নির সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানের ছেলে হিমেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২০ জুন হিমেল গাড়িতে করে তাঁর দুই ভাগ্নিকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর ছোট ভাগ্নিকে ড্রইংরুমে বসিয়ে রেখে হিমেলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা বড় ভাগ্নিকে অন্য ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় ভাগ্নি চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা মিলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ওয়াহিদুজ্জামান।
রাজবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।