পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে ইলিশ প্রজননসহ প্রাণ-প্রকৃতি ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ। এক সমীক্ষা প্রতিবেদন তুলে ধরে বলা হয়েছে, ওই বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণে আন্ধারমানিক নদীর ২৯ কিলোমিটার এলাকায় আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশ-প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ‘নির্মাণাধীন আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ প্রকল্প : একটি আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন ফসলি জমিতে বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ গাছপালাসহ পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, বিরূপ প্রভাবে এরই মধ্যে ইলিশ মাছের আকার ছোট হতে শুরু করেছে। ইলিশ প্রজননের পথ পরিবর্তন করে ফেলছে। এটার মূল কারণ সেখানকার পরিবেশ দূষণের ফলে বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন। তিনি বলেন, জনসাধারণের ধারণা, প্রকল্পটি শেষ হলে জলযানের ঘন ঘন চলাচল এবং দূষণ বৃদ্ধির কারণে ওই এলাকা থেকে মাছ গভীর সাগরে চলে যাবে। একই কারণে ইলিশের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে। আর কর্মসংস্থান ও বসতভিটা হারিয়ে সেখানকার বহু মানুষ উদ্বাস্তু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান। আশুগঞ্জ বিদ্যুেকন্দ্র সম্পর্কে স্থানীয় নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং চিন্তা-ভাবনা শনাক্ত করার জন্য একটি সত্য অনুসন্ধান মিশনের অংশ হিসেবে ওই সংক্ষিপ্ত গবেষণাটি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, গত মার্চ পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য কাঠামোগত উন্নয়ন শুরু হয়নি।