নেত্রকোনার মদন উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে আনসার ও ভিডিপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেতে দিতে হয়েছে ঘুষ। ধারদেনা করে ঘুষ দিয়ে দায়িত্ব পালনের পাঁচ মাস পার হলেও সম্মানী ভাতা পাননি আনসাররা।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে মদনে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ভোট গ্রহণের আগে ও পরে চার দিন দায়িত্ব পালন করেন আনসাররা।
বিজ্ঞাপন
মদন উপজেলার ৭২টি কেন্দ্রে মোট এক হাজার ২২৮ জন আনসার সদস্য তাঁদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন। অন্যদিকে মদন ছাড়াও পাঁচটি উপজেলায় বিভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত ৫৯৫ জন আনসার দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকারী এক হাজার ৮২৩ জনের কাছ থেকে (এক থেকে দেড় হাজার করে) প্রায় ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আনসাররা অভিযোগ করেন, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের অনেক আগে থেকে বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তারা ইউনিয়ন দলনেতার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া চালান। এ সময় যাঁরা এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা ঘুষ দিয়েছেন তাঁদের কোনো রকম অভিজ্ঞতা ছাড়াই তালিকাভুক্ত করা হয়। আর যাঁরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন, তাঁদের বয়স্ক ও দুর্বল উল্লেখ করে বাদ দেওয়া হয়। নির্বাচনী দায়িত্ব পেতে বাধ্য হয়ে আনসার সদস্যরা ঘুষ দিয়েছেন। আর এই ঘুষের টাকা দলনেতারা আদায় করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। সম্মানী ভাতার আশায় নির্বাচনী দায়িত্ব পেতে প্রান্তিক এসব নিরাপত্তাকর্মী অন্যের কাছ থেকে সুদে ঋণ করে ঘুষ দিয়েও এখন পর্যন্ত সম্মানী ভাতার টাকা পাননি।
জানতে চাইলে আনসার দলনেতা ছোটন মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে পরে কথা বলব। এখন ব্যস্ত আছি। ’
টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে দলনেতা সোনিয়া বলেন, ‘আপনাকে অনুরোধ করছি ভাই। এটি নিয়ে নিউজ করার দরকার নেই। ’